বয়স বাড়লে মা হওয়ার ঝুঁকি কতটা? বিশেষজ্ঞদের মতামত
আজকাল অনেক নারীই 30 বছরের পরে মা হতে চান। কিন্তু বয়স বাড়লে গর্ভধারণ, প্রসব এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে অনেকেরই জ্ঞান অস্পষ্ট থাকে।
এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন।
বয়সের সাথে সাথে ঝুঁকি বাড়ে:
গবেষণায় দেখা গেছে, 35 বছরের পরে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায় এবং জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গর্ভধারণে সমস্যা:
- ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যায়।
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
জটিল গর্ভাবস্থা:
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্রি-এক্লাম্পসিয়া, গর্ভস্থ জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জটিল প্রসব:
- সি-সেকশনের প্রয়োজন হতে পারে।
- দীর্ঘ প্রসব, অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে।
শিশুর স্বাস্থ্য:
- অল্প ওজনের শিশু জন্মের সম্ভাবনা থাকে।
- জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সচেতন থাকা জরুরি:
35 বছরের পর গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন অভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
- গর্ভধারণের পূর্বে সমস্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন।
- পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ:
- বয়স বাড়লে মা হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।
বিকল্প পন্থা:
- আইভিএফ:
- টেস্ট টিউব বেবি বা আইভিএফ-এর মাধ্যমে গর্ভধারণ সম্ভব।
- ডিম দান:
- তরুণী ডিম দানকারীর ডিম ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা যায়।
- দত্তক গ্রহণ:
- সন্তান নেওয়ার আরেকটি বিকল্প হলো দত্তক গ্রহণ।
সর্বোপরি, মনে রাখবেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা। সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো বয়সে সুস্থ ও সুন্দর সন্তানের মা হওয়া সম্ভব।
Leave a Reply