নেই ছিটেফোঁটা খাবার, অমিল পানীয় জল। ভয়াবহ হাহাকারের ছবি এখন গাজার সর্বত্র। সেখানে অনাহার, চরম অপুষ্টিতে ভুগছে এক লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। বাদ নেই শিশুরাও। গত অক্টোবরে হামাস জঙ্গিদের হামলার জবাবে ইজরায়েলি হানাদারির ফলে বিধ্বস্ত হয় গাজা। তারপর থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে খাবারের অভাব,পানীয় জলের সঙ্কট। খাবার,পানীয় জল না পেয়ে রীতিমতো ধুঁকছে সেখানকার বাসিন্দারা। বলা ভালো মৃত্যুর অপেক্ষা করছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে মড়ক শুরু হওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
চরম অপুষ্টির শিকার মজিদ সালেম নামে সাত মাসের শিশু। জন্ম হয়েছিল গত নভেম্বরের এক তারিখে। ইজরায়েলি হানার পর তাকে গাজার উত্তরে কামাল আদোয়ান হাসপাতালে গত মে মাসের ন তারিখে ভর্তি করা হয়। সেখানে ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। হাসপাতালের নার্স জানিয়েছিলেন শিশুটি ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে।
মে মাসের একুশ তারিখের পর ইজরায়েলি হানার কারণে হাসপাতাল খালি করার পর সালেমের মতো আরও দুটি শিশুর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টির শিকার। অন্যদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি প্রচার মাধ্যমের ডিরেক্টর জানিয়েছেন তাদের নথি থেকে জানা গিয়েছে গাজায় তেত্রিশজন অপুষ্টিতে মারা গিয়েছে। তাদের মধ্যে আঠাশজন শিশু। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ডিরেক্টর। সব মিলিয়ে গাজায় উত্তরোত্তর শিশুদের দুর্দশা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।
Leave a Reply