সবার কাছে সত্যজিৎ রায় হতে পারে কিন্তু তার কাছে মানিক জেঠুই। এই নামেই কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায় কে ডাকতেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ১৬-১৭ বছর বয়সে তার বাড়ি বোনের বিয়ের নিমন্ত্রন্ন করতেই গিয়েছিলেন। তার জন্মদিনেই সেই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তিনি।
সত্যজিৎ রায়ের ছবি দিয়ে তিনি একটি ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং তার বিপক্ষে শোনা যায় তার নিজের কণ্ঠস্বর। প্রসেনজিৎ বলেন যে সত্যজিৎ রায় কে নিয়ে তার কথা বলার যোগ্যতা নেই। আমি নিজের শ্রদ্ধা উৎসর্গ করেন। এবং তার জীবনের কাটানো একটি ছোট্ট মুহূর্ত তুলে ধরেন তিনি।
বোনের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনি ভয়ে ভয়ে মানিক জেঠুর বাড়ির বেলটা মারেন। এবং মানিক জেঠু অর্থাৎ আমাদের শ্রদ্ধেয় সত্যজিৎ রায় বেরিয়ে আসেন। এবং তাকে ভেতর নিয়ে জল খাওয়ার অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলেন। কেউ বলেন যে কথাগুলো সিনেমা কেন্দ্রিক একদমই নয় বরং ব্যক্তিগত কথা, যেমন তার মা কেমন আছেন বোন কেমন আছেন।
অবশ্য পরে সত্যজিৎ রায়ের এই ব্যবহারের কারণ উপলব্ধি করেন প্রসেনজিৎ এবং বলেন উনি হয়তো তার মনের কথা বুঝতে চেয়েছিলেন যে একটি সতেরো বছরের ছেলে এক হাজার বোনের বিয়ে নিমন্ত্রণ পত্র দিতে এসেছে সেই সময় দাঁড়িয়ে ওরা সেই সময়টুকু প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির কাছে অনেক বড় অনুপ্রেরণা ছিল । আসলে এত বড় মাপের মানুষের মনটাও যে কতটা বড় এবং অপরকে কিভাবে অদ্ভুতভাবে শক্তি যোগান। তা বলতে বলতে আবারো তার প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই ভিডিও শেষ করেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী।
Leave a Reply