তারিখ পে তারিখ , আদালতে মামলা মানেই তারিখের অন্ত নেই । তার জেরেই ন্যায্য পাওনা কিংবা ন্যায্য বিচার পেতে সময় লেগে যায় বছর কে বছর । তবুও আদালত ছাড়া গতি নেই । গণতন্ত্রের প্রধান স্তভ বলে কথা । অগত্যা সময় লাগলেও ন্যায্য বিচারের আশায় আদলতকেই বেছে নেন বিচার প্রার্থীরা । ঠিক যেমনটি ধরুন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডি এ মামলার বিষয়টি ।
আগামী ১৫ ই মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ডি এ মামলার শুনানি । কিন্তু ওই দিন শেষ পর্যন্ত শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মী মহলে । কারণ ওই দিন যদি রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয় তাহলে DA মামলার নিস্পত্তি যে এখনই হবে না সে বিষয়ে আর বুঝতে কারও বাকি নেই । রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একেবারে সোনায় সোহাগা । কারণ তাহলে রাজ্য সরকার কে ২০২২ সালে ১৫ ই মার্চ কলকাতা হাই কোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া দাবি দাওয়া মিটিয়ে দিতে হবে । শেষ পর্যন্ত ১৫ ই মার্চ কি হয় সে দিকেই চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন রাজ্য বঞ্চিত রাজ্য সরকারি কর্মচারি বৃন্দ ।
১৫ ই মার্চই হবে ডি এ মামলার শুনানি । কারণ ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে শর্ট নোট জমা পড়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেবাশীষ শীল । পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি , বুধবার কলকাতা হাইকোর্টেও ডিএ-র আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ছিল। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ, ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর সেই আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ছিল।
কিন্তু হঠাৎই দেখা যায় ৩৪ নম্বর সিরিয়ালের পর চলে এল ৩৬ নম্বর সিরিয়াল । ঠিক কী কারণে সেটা হয়, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি আইনজীবী না আসায় সরকার কিছুটা সময় চেয়ে নেয়। পরে অবশ্য মামলাটি ফের আদালতের সিরিয়ালে উঠবে বলে জানান তিনি । তবে ওই দিন মামলার মামলার শুনানির আগেই কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন , ‘সর্বভারতীয় সূচক মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতেই হবে রাজ্য সরকারকে।
তিনি আরও বলেন , এটি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার । ইতিমধ্যেই আদালত বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি । পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি । শেষ পর্যন্ত ১৫ ই মার্চ এই মামলার নিস্পত্তি হয় কিনা সে দিকেই নজর রয়েছে আন্দোলন রত রাজ্য সরকারি কর্মচারী বৃন্দের ।
Leave a Reply