Hickey: ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে লাভ বাইটের কামড়ে মৃত্যু প্রেমিকের

নিউজ ডেস্ক: ‘হিকি’। হিকির ঝক্কি সামলাতে না পেরে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত পরিণত হল বিভীষিকায়। চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে প্রেমিক-প্রেমিকারা উত্তেজনার উদ্দেশে আদর করে একে অপরের গলায়, ঘাড়ে, কানে কামড় দিয়ে থাকেন। মর্ডান যুগের তরুণদের মধ্যে এই ‘কামড়’, ‘লাভ বাইট’ নামে জনপ্রিয়। আমেরিকা সহ একাধিক দেশে একেই বলে ‘হিকি’। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল একবার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের এই কামড়েই মৃত্যু হয় এক প্রেমিকের।

মৃত প্রেমিকের নাম জুলিও ম্যাকিয়াস গঞ্জালেজ। মৃত্যুর সময় জুলিওর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। ২০১৬ সালের অগস্ট মাসে মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা জুলিও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে একটি রোম্যান্টিক সন্ধ্যা কাটানোর পর বাড়ি ফিরে আসেন। ২৪ বছর বয়সি বান্ধবী এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে খাবার টেবিলে ডিনার খেতে বসে হঠাৎই খিঁচুনি শুরু হয় জুলিও-র। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জুলিওকে। কিন্তু ডাক্তারদের হাজারও চেষ্টা করার পরও বাঁচানো যায়নি জুলিওকে। চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকদের দাবি, ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হয় জুলিওর। কিন্তু ব্রেন স্ট্রোকের কারণ কী? মৃত্যুর কারণ প্রেমিকার থেকে পাওয়া হিকির কারণেই জুলিওর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে, এমনটাই জানান চিকিৎসকরা। প্রেমিকার দেওয়া ‘আদুরে কামড়’ জুলিওর গলায় রক্ত জমাট বেঁধে দেয়, যার পরিণতি মৃত্যু। সেই জমাট বাঁধা রক্ত তরল রক্তের সঙ্গে বাহিত হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছনোর পরই জুলিওর ব্রেন স্ট্রোক হয়।

জুলিওর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর প্রেমিকা শহর ছেড়ে পালিয়ে যান। জুলিওর পরিবারের সদস্যরা তাঁর প্রেমিকাকেই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। প্রেমিকা ইচ্ছা করে জুলিওর গলায় জোর করেই কামড়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

নিউ ইয়র্ক সিটির লেনক্স হিল হাসপাতালের চিকিৎসক রবার্ট গ্ল্যাটারের এই বিষয়ে বলেন, “ঠিক ভাবে কামড় দেওয়া না হলে একটি হিকি বা লাভ বাইটও এক জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। দীর্ঘ সময়ে ধরে কামড়ে ধরে থাকার কারণে ক্যারোটিড ধমনীর উপর সরাসরি চাপ পড়তে পারে। এর ফলে রক্তনালির দেওয়াল ছিঁড়ে যেতে পারে এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই জমাট বাঁধা রক্ত কারণেই হয় ব্রেন স্ট্রোক।