নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত শোনেননি চণ্ডীগড়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ নার্সিংয়ের ৩৬ জন পড়ুয়া। তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কর্তৃপক্ষের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। অভিযুক্ত ছাত্রীদের এক সপ্তাহ হোস্টেল থেকে বেরতে নিষেধ করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ নার্সিংয় কর্তৃপক্ষ। লিখিতভাবে একথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে তাঁদের। কর্তৃপক্ষের এই রকম পদক্ষেপ ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ নার্সিংয় কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এমন একটি সিদ্ধান্ত তারা চাপিয়ে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাপের মুখে কর্তাদের কেউ কেউ নাম পরিচয় গোপন রেখে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন, শৃঙ্খলা রক্ষায় এটা রুটিন শাস্তি। এর সঙ্গে মন কি বাত অনুষ্ঠানের আলাদা করে কোনও সম্পর্ক নেই। ক্লাস না করলেও এই একই শাস্তি দেওয়া হয়।
ওই নার্সিং ইনস্টিটিউটটি চণ্ডীগড়ের ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধীনে পরিচালিত। প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, ৩০ এপ্রিল সেখানেও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনতে চিকিৎসক সহ সকলকে বেলা ১১’টায় অডিটোরিয়ামে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
নার্সিং ইনস্টিটিউটে আলাদা করে হস্টেল সুপার আবাসিক ছাত্রীদের বলেছিলেন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনা বাধ্যতামূলক। সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিটোরিয়ামে পৌঁছতে হবে। সেখানে দেখা যায় নার্সিং ছাত্রীদের প্রথম ও তৃতীয় বছরের ৩৬ জন হাজির হয়নি। তিনদিনের মাথায় তাদের শাস্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার এবং শিক্ষা মন্ত্রক চিঠি দিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছিল ৩০ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ‘মন কি বাত’ এর শততম পর্ব শোনানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু পড়ুয়া সহ সকলের শোনা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি সরকারি নির্দেশে। তা সত্ত্বেও চণ্ডীগড়ের ওই প্রতিষ্ঠান কেন ছাত্রীদের শাস্তি দিল তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন আছে। অনেকেরই বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সরকারি টাকায় নিজের ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টায় মেতেছেন। সেই অনুষ্ঠান না শোনা অপরাধ হবে কেন?
Leave a Reply