ইউ এন লাইভ নিউজ: কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে ১০০। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের উপর কড়া নজর রেখেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে কারফিউয়ের ডাক দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। চাকরি ক্ষেত্রে রিজার্ভেশন সিস্টেম নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের চলমান বিক্ষোভের মধ্যে ৪০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে উপস্থিত সাড়ে আট হাজার ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে ৪০৫ জনকে এখন পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ বাংলাদেশের এই উত্তাল পরিস্থিতির মুখে পরে বিদেশী ছাত্র ছাত্রীরা দলে দলে দেশে ফিরছে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক।’ সংবাদ সংস্থা এপি-র মতে, বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন যে তাঁরাও আলোচনার জন্য তৈরি। অন্যদিকে, বিক্ষোভের সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, ‘আলোচনা এবং গুলি একসাথে চালানো যায় না… আমরা আলোচনার জন্য মৃতদেহকে পদদলিত করতে পারি না।’ এদিকে, বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচলও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোটা বিরোধী বিক্ষোভ যত দিন যাচ্ছে ততই হিংসাত্মক হয়ে উঠছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় শুক্রবার অর্থ্যাৎ ২০ জুলাই দেশব্যাপী কারফিউ জারি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫-এ পৌঁছেছে। বাংলাদেশের টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলি বন্ধ। টেলিযোগাযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অনেক সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও নিষ্ক্রিয় রয়েছে। বিদেশি টেলিফোন এবং ইন্টারনেট কলও করা যাচ্ছে না বলে খবর।
Leave a Reply