নিউজ ডেস্ক: ১৯৬৮ সালের ২১ ডিসেম্বর। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ৫৪ বছর আগে সেই দিনে, পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে মহাকাশ অভিযানের এক নতুন যুগের সূচনা করেন মার্কিন নভশ্চররা। অ্যাপোলো মিশন। অ্যাপোলো মিশনের (১৯৬৩-৭২) মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশচারীদের পাঠিয়ে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। প্রথমেই অ্যাপোলো-১ ভীষণ ভাবে ব্যর্থ হয়। প্রাক-উৎক্ষেপণ পরীক্ষার সময় তিন জন মহাকাশচারী ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ওই মহাকাশযান। এর পরবর্তী সময়ে মহাকাশচারী নিয়ে অ্যাপোলো-৭ মহাশূন্যে সবথেকে বেশি সময় কাটানোর রেকর্ড গড়ে। তবে, ১৯৬৮ সালের ২১ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম অ্যাপোলো-৮ দশ বার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে, প্রায় ৮০০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রমেরপর,প্রশান্ত মহাসাগরে সফল ভাবে অবতরণ করে।
১৯৬৭ সালে অ্যাপোলোতে পরীক্ষার সময় মারা যান তিন মার্কিন মহাকাশচারী। তার পরের বছর অ্যাপোলো-৮ সফল ভাবে পাক দেয় চাঁদকে, সেখানেও তিন মার্কিন নভশ্চর। তিনজন মহাকাশচারী কমান্ডার ফ্রাঙ্ক বর্মেন, কমান্ড মডিউল পাইলট জেম্স লভেল্ এবং লুনার মডিউল পাইলট উইলিয়াম অ্যান্ডারস্ প্রথম মানব হিসেবে পৃথিবীকে একটি সম্পূর্ণ গ্রহ হিসেবে দেখার এবং কৃত্রিম উপগ্রহের কাছে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
অ্যাপোলো ১১ তার যাত্রা শুরু করে ১৬ জুলাই, ১৯৬৯ সালে, কেনেডি স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে থেকে, একটা স্যাটার্ন ৫ রকেট-এ চেপে। এর চন্দ্র অবতরণকারী যান ঈগল ২০ জুলাই আন্তর্জাতিকসময় সন্ধে ৮ টা ১৭ মিনিটে-এ নিয়ন্ত্রিত ভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শকরে। তার প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা পরে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন | এর ১৯ মিনিটে পর এডউইন অলড্রিন নেমে আসেন মহাকাশযান থেকে। ঈগল চাঁদের যে জায়গায় অবতরণ করেছিল তার নাম সি অফ ট্রাংকুইলিটি। অবতরণ-এর জায়গাটার নাম দেওয়া হয়েছিল ট্রাংকুইলিটি বেস। অবতরণের সাড়ে একুশ ঘণ্টা পরে ওই যানে চেপেই তারা ফিরে আসেন কলম্বিয়া যানটিতে। অবশেষে ৮ দিন মহাকাশ ভ্রমণের পর ২৪ জুলাই তারা প্রত্যাবর্তন করেন প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে।