নিউজ ডেস্ক: শুধু সন্ত্রাসবাদই নয়, চোরা পথে ভারতে মাদকও সরবরাহ করে পাকিস্তান এমনই অভিযোগ তুলেছিল নয়া দিল্লি। নয়া দিল্লির সেই অভিযোগই যেন সত্যি প্রমাণিত হল। বুধবার গুজরাট উপকূলে পাকিস্তানি নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে গুজরাট পুলিশ ও ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে ৪০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার দর প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এটিএসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাছ ধরার ওই নৌকা থেকে ৬ জন পাকিস্তানের নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাই থেকে এই মাদক আমদানি করা হয়েছিল বলেও প্রাথমিকভাবে মনে করছে এটিএস।
গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের জলসীমার ছয় মাইল ভিতরে পাকিস্তানি নৌকাটিকে পাওয়া গিয়েছে। জাখাউ উপকূলের কাছে আটক করা হয় নৌকাটিকে। সেখান থেকে প্রায় ৪০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তার দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
জাখাউতে এনে পাক নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এটিএসের অনুমান, পঞ্জাবে পাচার করা হচ্ছিল ওই মাদক। আগে থেকেই উপকূল রক্ষা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল যে, ভারতে মাদক পাচারের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যৌথ ভাবে অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড এবং গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ ইস্যুতে বচসা তুঙ্গে, ভুল নেই মেরি ম্যাডামের, বলছেন সহকর্মীরা
গুজরাট উপকূলে মাদক সহ বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার বিদেশি মাদক বোঝাই নৌকা আটক করেছে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আসা এই নৌকাটি গুজরাটের কোনও বন্দরে হেরোইন নামিয়ে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তার পর সেই হেরোইন সড়কপথে গুজরাট থেকে পঞ্জাবে পৌঁছে যেত। এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর কোনও চক্রের যোগ রয়েছ কি না খতিয়ে দেখতে জাখাউ বন্দরে আসতে পারেন উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং সন্ত্রাস দমন শাখার পদস্থ আধিকারিকরা।
Leave a Reply