নবান্নের কড়া নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল সরকারি কর্মচারীদের, প্রায় ফাঁকা সরকারি অফিস

নিউজ ডেস্ক: বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আগেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগঠন। সেই ধর্মঘট বানচাল করতে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। কিন্তু নবান্নের সেই নির্দেশিকাকে বুড় আঙুল দেখাল আন্দোলনকারীরা। জেলা থেকে শহর কলকাতা সরকারি দফতর, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ছবি দেখা গেল।

বিকাশ ভবন, খাদ্য ভবন, রাইটার্স বিল্ডিংস, পূর্ত ভবন, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকের দফতর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়– সব জায়গায় দেখা গেল আলো জ্বলছে, পাখা চলছে, টেবিল-চেয়ার পাতা কিন্তু লোকজন প্রায় নেই। কোথাও পুরো ফাঁকা। কোথাও ৪০ জনের জায়গায় হয়তো রয়েছেন সাত-আট জন। নবান্নেও অন্যদিনগুলির মতো হাজিরার নেই বলেই খবর।

তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছিল। ধর্মঘটীদের দাবি, তারা ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতা সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, সরকার আজকে বুঝতে পারল ভয় ভেঙে গিয়েছে। এবার সরকারের ভয় পাওয়ার সময় এসেছে।

সরকারি দফতরগুলির বাইরে ধর্মঘটীদের পিকেটিং চলছে। বিকাশ ভবনের মূল গেটে পিকেটিংয়ে থাকা আন্দোলনকারীরা বলেন, দফতরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই কনট্র্যাক্টচুয়াল কর্মী। স্থায়ী কর্মী নন। বিভিন্ন দফতরের বাইরে অবসরপ্রাপ্তদেরও জমায়েত চোখে পড়ার মতো।