“আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে”, মেয়ের সাফল্যে কেঁদে ফেললেন ‘বাবা’

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিও। যা ভিউ পেয়েছে ৮০ লক্ষ আর ১০ লক্ষ লাইক। কোনও কোনও সেলেব্রিটিও পায় না তার পোস্টে এত লাইক। কী সেই ভিডিও ,যাতে এত ভিউ এল? আসলে ভিডিওটি এক স্বপ্ন পূরণের গল্প। যাতে আছে দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল। যেখানে সন্তানের হাত ধরে স্বপ্নের কলেজে পৌঁছালেন ‘বাবা’! স্বপ্নটা কারোর একার নয়, স্বপ্নটা গোটা পরিবারের।

স্বপ্ন শুধু সন্তানরা দেখে না, সন্তানের মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন দেখেন মা বাবারাও। তাই নিজের অংশকে সাফ্যলের দিকে এগিয়ে যেতে দেখলে খুশি হন সব বাবা মা-ই। তেমনই ঘটনা আবারও দেখা গেল দিল্লিতে। মেয়েটির নাম প্রেক্ষা। কলেজে ভর্তি হতে এসেছিল সে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। কলেজ তখন ছিল ফাঁকা। তাই কলেজ চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল বাপ-মেয়ের জুটি। এই কলেজেই মেয়েকে পোড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করে ছিলেন তার বাবা। সেই কলেজেই যে একদিন ভর্তির সুযোগ পাবে মেয়ে, তা হয়তো ভাবতেও পারেননি তারা।

বাবার হাত ধরে কলেজের চারপাশ ঘোরার সময় হঠাৎই মেয়ে খেয়াল করল বাবার চোখ গড়িয়ে পড়ছে জল। এতদিনের ইচ্ছা পূরণ হতে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন প্রেক্ষার বাবা। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ে পোস্ট করায় দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে চারি দিকে। যা ইতিমধ্যেই ৮০ লক্ষ ভিউ এবং ১০ লক্ষ লাইক পেয়েছে।

এই মুহূর্তেকে ধরে রাখতেই ভিডিও বানায়ে প্রেক্ষা এবং সেই ভিডিও তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে না করতেই ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মাধ্যমে। এক বাবার এই আবেগঘন দৃশ্যকে দেখে আবেগে ভাসল নেটমাধ্যম। পাশাপাশি এই ভিডিও পোস্ট করার সময় তার কেপ্সানে প্রেক্ষা লেখে, ‘‘আমার বাবা-মা আমাকে দিল্লি ইউনিভার্সিটির মিরান্ডা হাউস কলেজে ছাড়তে এসেছিল। এটা আমাদের স্বপ্নের কলেজ ছিল। কলেজের প্রথম দিন ছিল তাই আমরা কলেজ চত্বর ঘুরে দেখছিলাম। হঠাৎ দেখি যে, আমার বাবার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।’’

আরও পড়ুন : আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাবে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

সে আরো বলে, ‘‘বাবা এতটাই খুশি ছিল যে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিল।শুধু যে আশা পূরণের জন্য না বরং বাবা মায়ের থেকে দূরে থাকব সেটা ভেবেই কেঁদে ফেলেন বাবা। আমি যে সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করেছি, সমস্ত কঠোর পরিশ্রম করেছি তা শুধু এই দিন দেখার জন্য। আমি শুধু বলতে পারি যে, বাবা-মার হাসিমুখ এবং ঝলমলে চোখ দেখার জন্য আমি সব করতে পারি।’’ এবং সবার শেষে সে বলে ” মা-বাবা তোমাদের ধন্যবাদ। আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি”

 আরও পড়ুন : নদিয়া-সফরে মুখ্যমন্ত্রী, লক্ষ্য মতুয়া ভোট?