নিউজ ডেস্ক : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও এখনও পর্যন্ত এমন একটি শহর গড়ে তুলতে পারেনি ভারত, যা জীবনযাত্রার মান বা মূল্যবোধ পূরণ করতে পারে। এরই মধ্যে আগামী কয়েক দশকে ভারতের শহরে জন বিস্ফোরণের আশঙ্কা, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে না বলে জানানো হয়েছে ইউএন রিপোর্টে। শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জীবনযাত্রার মান আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ, ভারতের শহরগুলোতে বাস করে। ২০৩০ সালের মধ্যে শহুরে জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যে শহরগুলো এখনও নির্দিষ্ট পরিকাঠামোর অভাবে জনসংখ্যা সামলাতে পারছে না, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কিভাবে তা সামাল দেবে? জনসংখ্যার চাপ শহরগুলির ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হলে, শহরগুলির মৌলিক চাহিদাই বা কীভাবে পূরণ হবে?
দেশের চারটি প্রধান শহর, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই এবং বেঙ্গালোরে জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ বস্তিতে বসবাস করতে বাধ্য হয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও সেখানে বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। বর্তমানে দিল্লির যা জনসংখ্যা, তার জন্য তৃষ্ণা মেটানোর উপযুক্ত জলও নেই। তার ওপর দূষণের কারণে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এমনকি মায়ানগরী মুম্বাইয়ও প্রতি বছর বর্ষাকালে থমকে যায়, কারণ সেখানে নেই সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন : Cop-27: সমুদ্র গিলে নেবে সুন্দরবনকে, আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
ভারতকে গ্রাম ও গান্ধীর দেশ বলা হয়। গ্রাম থেকে উন্নত জীবনের সন্ধানে তরুণরা ক্রমশ শহরের দিকে পা বাড়াচ্ছে। গ্রামগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে এবং শহরগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি শহরগুলিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ভারতের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী রোগ, মহামারি ও বেকারত্বের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে প্রকাশ পাবে জি২০ প্রেসিডেন্সির লোগো-থিম-ওয়েবসাইট
Leave a Reply