নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচনার শীর্ষে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন। আমেরিকার উভয় হাউস অর্থাৎ প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫টি আসন এবং সেনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। পাশাপাশি ৩৬টি রাজ্যের গভর্নরদের জন্যও হবে নির্বাচন। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেন এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিক পার্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তা কী জানেন? কেন এই নির্বাচনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সেমিফাইনাল বলা হয় জানেন? বিশদে জেনে নিন UNLive-এর পেজে।
বিদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হর্ষ ভি পান্ত জানিয়েছেন, আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচন রাষ্ট্রপতির চার বছরের মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংসদের উভয় কক্ষ, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস অর্থাৎ নিম্নকক্ষ এবং সেনেট অর্থাৎ উচ্চকক্ষের সদস্যরা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে রাজ্যের গভর্নররাও নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে কোন দল মার্কিন পার্লামেন্টে আধিপত্য বিস্তার করবে তা ঠিক হয়ে যায়। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল, হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় হোয়াইট হাউসকে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির ভিত্তিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়। একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বিরোধী রিপাবলিক পার্টি। আমেরিকায় এই নির্বাচনের ফলাফল আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। তাই এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা দুই দলের জন্যই সম্মানের বিষয়। এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দল পার্লামেন্টে কতটা শক্তিশালী। প্রেসিডেন্টের দল হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে হোয়াইট হাউসকে আইন প্রণয়নে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।
অধ্যাপক পন্ত জানিয়েছেন, ভারতে যেমন পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের অধিকার আছে, তেমনি আমেরিকায় আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে আমেরিকান পার্লামেন্টের। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস সিদ্ধান্ত নেয়, কোন আইনে ভোট দেওয়া হবে। এর পরে, সেনেট সেই আইনগুলি পাশ করে বা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তও করে সেনেট। গত দু’বছর ধরে, জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২২১টি আসন রয়েছে। তবে সেনেটে রিপাবলিকান পার্টির ৫০ জন সাংসদ রয়েছে, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ৪৮টি আসন রয়েছে। এই হাড্ডাহাড্ডি টক্করের মধ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন পরিষ্কার করে দেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাস্তা।
আরও পড়ুন : ভারত জোড়ো যাত্রায় শোকের ছায়া, প্রয়াত কংগ্রেস সেবাদলের সাধারণ সম্পাদক
Leave a Reply