T20 World Cup: কপিলদেব “চোকার্স” বলেছেন এখনকার টিম ইন্ডিয়াকে!

স্পোর্টস ডেস্ক: ” হ্যাঁ, এই ভারতীয় দলকেই তো চোকার্স বলতে হবে। টুর্নামেন্ট জেতার জন্য কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও, হোঁচট খাচ্ছে বারবার। এটাই এখন বিশ্বের চোকার্স টিম।” একথা যে সে লোক বলছেন না। রোহিত – বিরাটদের দিকে আঙুল তুলে যিনি বলছেন তিনি কপিলদেব। যিনি ১৯৮৩ সালে দেশকে প্রথমবার বিশ্বসেরার সম্মান এনে দিয়েছিলেন দলবল নিয়ে।

ভারতীয় দল সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হেরে ফিরছে। আর কপিলদেব এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বসে, এমনটা বলছেন সোজা সাপটাভাবে। ৬৩ বছর বয়সী প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়কটি পাশাপাশি এটাও বলেছে, দলের ফ্যানদের মনে রাখতে হবে সেমিফাইনালে ভারতের পারফরমেন্স নিয়ে বেশি কড়া কথা না বলতে। ইংল্যান্ডের কাছে হারার পরই শেষ ৬ টি বিশ্বকাপে ( টি ২০ কিংবা ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল ) এটি হল পঞ্চমবার – ভারত নক আউটে হেরে ছিটকে গেল।

ভারতের ফ্যানদের আশাভঙ্গ হলেও, কপিল বলেছেন, ” আমি মানছি, ভারত এই ম্যাচটি ভালো খেলেনি। তাই বলে একটি ম্যাচ নিয়ে দলের কড়া সমালোচনা করা ঠিক হবে না।”

পরিসংখ্যান কী দেখাচ্ছে? ভারত শেষবার আইসিসি টুর্নামেন্টে জিতেছিল সেই ২০১৩ সালে এই ইংল্যান্ডকেই হারিয়েছিল। জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তারপর থেকে ট্রফি জয়ের খরা চলছে। সেই থেকে দল নক আউট পর্যায়ে খেলেছে ২০১৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ফাইনাল), ২০১৫ ওডিআই বিশ্বকাপে (সেমিফাইনাল), ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ফাইনাল), ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপ (সেমিফাইনাল), ২০২১ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (সেমিফাইনাল)। এর সব ক’টিতে হেরেছিল ভারত।

এই এক প্রসঙ্গে স্কাই স্পোর্টসে ম্যাচটি নিয়ে বলছিলেন, ইংল্যান্ডের আরেক প্রাক্তন ইংল্যান্ড নাসের হুসেন। “আইসিসি ইভেন্টে ভারত সবসময় সমস্যায় ছিটকে যায়। গোটা বিশ্বে ভারত সব দেশকে হারিয়ে দেয়। কতো প্লেয়ার এখন। নানান দক্ষতার সব ক্রিকেটার। সকলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলায়। সকলে কিছুটা করে বিশ্রাম পায়। আইসিসি ইভেন্টে ভারতীয় দল কেন যেন প্রবল চাপের মধ্যে খেলে। গুটিয়ে থাকে দলটা। কেমন যেন খোলসে ঢুকে থাকে। আমার পাওয়ার প্লেতে দলের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, অনেকেই ভয়ে-ভয়ে খেলছে।”

দলে রাহুল দ্রাবিড়ের মত ঠান্ডা মাথার চোস্ত টেকনিক জানা হেড কোচ। বিরাট কোহলির মত পারফর্মার। তাঁদের সঙ্গে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে ( আইপিএল ) সফলতম অধিনায়কদের একজন রোহিত শর্মা। আর মনোবিদ প্যাডি আপটন। তাতেও ভয়, ভীতি?