নিউজ ডেস্ক: আইআইটি খড়গপুর পড়ুয়ার মৃত্যুতে আইআইটি কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ কোর্ট। র্যাগিং বিষয়ে অবগত থাকার পরেও কেন এমন গাফিলতি? কর্তৃপক্ষের দিকে উঠছে আঙুল। আদালতের প্রশ্ন, পড়ুয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা না প্ররোচনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। র্যাগিংয়ের কথা জানানো হয়েছিল ফ্রেবরুয়ারিতে। তারপরেও ম্যানেজমেন্ট ও ওয়ার্ডেনরা কী করছিল, সেই জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল আইআইটি ডিরেক্টর-কে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মৃত ছাত্র ফয়জানের মৃত্যুর পর টের আঘাতের প্রমাণ কি দুদিনে নষ্ট হয়? এবিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। আদালত র্যাগিং নিয়ে বলে,`র্যাগিং একটা রোগ। যে অভিযোগ উঠেছে তা যদি প্রমাণ হয় তাহলে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এখনও পর্যন্ত তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে তা পেশ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি। ফের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এফএসএল রিপোর্ট (FSL report) সোমবারের মধ্যে অ্যাডিশনাল এসপি কে দিতে হবে। অ্যাডিশনাল এসপি সব দিক খতিয়ে দেখে ফয়জানের মৃত্যু তদন্ত করবে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, ফেসবুক থেকে পড়ুয়ার যে পোস্ট ডিলিট হয়েছে, সেই পোস্ট উদ্ধারে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: কবে মহাকাশে পাড়ি দেবে দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট? কী বলছে স্কাইরুট অ্যারোস্পেস? জানুন
ঘটনার প্রেক্ষাপট
আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের বি.টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়ুয়া ফয়জানের দেহ লালা লাজপৎ হস্টেলের এক ঘরে পাওয়া যায়। অসমের বাসিন্দা এই ফয়জান ছিলেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ হস্টেলের বোর্ডার। কী করে এক হস্টেলের বোর্ডারের দেহ অন্য হস্টেলে পাওয়া যায়, তা অস্পষ্ট। ১১ অক্টোবর তাকে শেষ দেখা যায়। সিসিটিভিতেও দেখা যায় তাঁকে। এদিকে, পুলিশের বলছে, ১১ অক্টোবর তড়িতাহত হন ওই পড়ুয়া। এর ফলেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানোর দাবি জানিয়ে মৃতের বাবা-মা হাইকোর্টে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন কারাপ্রতিমন্ত্রী
Leave a Reply