নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশনের পরেই অভিনেতা বাদশা মৈত্রকে ডাকা হতে পারে বিধানসভায়। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বাম ঘনিষ্ঠ অভিনেতা বাদশা মৈত্র। তারপরেই বিধানসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ করেন সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। বাদশা মৈত্র ছাড়াও কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, বলে সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার স্বাধিকারভঙ্গ কমিটির চেয়ারম্যান তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এ বিষয়ে সাক্ষী দিয়েছেন মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। তার পরেই বাদশা সহ আর দু-জনকে বিধানসভায় ডেকে পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই বিষয়ে বাদশা বলেন, ‘‘আমি চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। চিঠিতে যা লিখেছি, সেটাই আমার বক্তব্য। এর পর যদি আমাকে ডাকা হয়, তা হলে যাব। সেখানে গিয়ে চিঠিতে যা লিখেছি, সেটাই বলব।’’
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল মুকুল রায়কে। তিনি বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেছিলেন। তারপরেই মুকুল রায়কে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে ওই টিভি অনুষ্ঠানে স্পিকার ও বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন বাদশা মৈত্র ও কৌস্তুভ বাগচী। তার জেরেই স্বাধিকারভঙ্গ কমিটির কাছে প্রস্তাব আনেন মুখ্যসচেতক নির্মল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, দিল্লির থানায় অভিযোগ দায়ের লকেটের
যদিও অভিযুক্ত সকলেই এ বিষয়ে তাঁদের লিখিত বক্তব্য জানিয়েছেন বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। তবে তাঁদের সেই উত্তরে স্বাধিকারভঙ্গ কমিটি সন্তুষ্ট নয় বলেই সূত্রের দাবি। তাই ১৮-৩০ নভেম্বর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই ডাকা হতে পারে অভিযুক্তদের।
Leave a Reply