নিউজ ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনায় ক্ষোভ আছড়ে পড়ল চুঁচুড়া হাসপাতালে। শনিবার বিজেপির বুথ সভাপতির অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে মগরা থানার পুলিশ। রবিবার ওই মহিলাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাঁশবেড়িয়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর।
রবিবার সকালে চুঁচুড়া হাসপাতালে যান মিনতি ধর ও তাঁর অনুগামীরা। হাসপাতালেই তাঁকে ঘেরাও করেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। সেখানই তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে সকলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
কাউন্সিলর মিনতি ধর বলেন, ‘এটা একেবারেই পাড়ার ঘটনা। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। গতকাল যখন ঘটনাটি ঘটে তখন আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম। পরে আক্রান্তদের বাড়ি যাই। আজ সকালে হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেখতে এলাম। এভাবে বিক্ষোভ দেখানোর কোনও কারণ নেই। দল তো অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। বরং ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।’
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিয়েও প্রত্যাহার প্রশাসনের
শনিবার বিকেলে সামান্য কল নিয়ে ঝগড়ার জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আবার এলাকারই বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি রাজনৈতিক মোড় নেয়। ঘটনার পরেই পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত রাখাল দাস ও তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে।
Leave a Reply