বিধ্বংসী আগুন এস‌এসকেএম হাসপাতালে

নিউজ ডেস্ক : এস‌এসকেএমের জরুরি বিভাগে বিধ্বংসী আগুন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ এমার্জেন্সির বিল্ডিংয়ের দোতলায় ল্যাবে আগুনের সূত্রপাত হয়। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চত্বর। এখনও পর্যন্ত দমকলের ৯টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।

সূত্রের খবর, এমার্জেন্সির বিল্ডিংয়ের দোতলায় কোনও রোগী নেই। হাসপাতালের কর্মী-সহ সকলেই বেরিয়ে এসেছেন। ভিতরে কেউ আটকে নেই। তবে যেখানে আগুন লেগেছে, তার উপরের তলায় রোগীদের ওয়ার্ড রয়েছে। আগুন যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র।

মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ‘আমাদের মন্ত্রী আছেন, স্বাস্থ্য সচিব আছেন, ডিজি ফায়ার সার্ভিসেস আছেন, ডিসি সাউথ আছেন। এখানে সিটি স্ক্যানের ঘর থেকে আগুন লাগে। মোটামুটি আগুন এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কেউ ভিতরে নেই। কোনও আঘাত নেই, কোনও মৃত্যু নেই। এখন আগুন কেন লেগেছে তা ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট করবে। সেখান থেকেই আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।

দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ‘আমাদের ২টো ইঞ্জিন ওখানে থাকে। কাজ করে। আপাতত ৯টা ইঞ্জিন কাজ করছে। যেখানে আগুন লেগেছে আমাদের লোকেরা সেখানে ঢুকে গিয়েছে। খুবই ধোঁয়া। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। এখন আগুন নেভানোটাই প্রথম কাজ। কোনও লোক আটকে নেই। আমাদের ডিজিও যাচ্ছেন ওখানে।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘আমরা উপরে গিয়েছিলাম। এখনও অবধি যা বুঝতে পারছি একটা স্ক্যান করার মেশিন থেকে আগুন লেগেছে। দমকল এসে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দমকল কাজ করছে। রোগী সরানোর ব্যাপার নেই । ওখানে রোগী নেই।’

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গের নতুন স্থায়ী রাজ্যপালের নাম ঘোষণা রাষ্ট্রপতির