নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। মোদি-শাহকে ‘দুর্যোধন ও দুঃশাসন’ মন্তব্যই এবার বিধানসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন হাতিয়ার গেরুয়া শিবিরের। মঙ্গলবার বিজেপির পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে এই মর্মে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তা খারিজ হতেই বিধানসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিক্ষোভ দেখিয়ে বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা।
মঙ্গলবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপরই স্পিকার জানান, বিজেপির এই মুলতবি প্রস্তাব বিধানসভার বিষয় নয়। পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান কী ভাবে রাজ্যের বিষয় নয় বলে জানতে চান তিনি। শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের সঙ্গে তর্কও শুরু হয় বিজেপি বিধায়কদের। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা।
এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানান, ‘ভারতের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে বলেছি। বিরোধী দলনেতা আমাকে ভুল উদ্ধৃত করে ট্যুইট করেছেন। আমি বলিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটিদের ভুমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটা সম্পর্কে জানেন না।’ তবে এরপরই আরও হই-হট্টগোল শুরু করে প্রতিবাদী স্লোগান তোলে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। সাবিত্রী মিত্রের সাসপেন্ডের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন : গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিতর্কের কেন্দ্রে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
রবিবার মালদার রতুয়ায় এক দলীয় সভায় মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, মমতাকে শূর্পণখা বললে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুর্যোধন-দুঃশাসন বলব। এমনকি দেশের স্বাধীনতায় গুজরাটের কোনও অবদান নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এরপরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা। এর আগে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সমালোচনায় জড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অখিল গিরি।
Leave a Reply