নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এবার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর এসএসসি অফিসই।
সিবিআই সূত্রের খবর, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল গাজিয়াবাদের উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা, নাইসাকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে নয়ডার ওই সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়ালকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা গেছে, ওই সংস্থার কাছে যে ওএমআর শিট সংরক্ষিত আছে তাতে সঠিক নম্বর রয়েছে। তবে এসএসসি অফিসের সার্ভারে ওএমআর শিটের কারচুপি করা হয়েছে। সেখানেই বাড়ানো হয়েছে নম্বর। একথা আগেই আদালতকে জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই রিপোর্টে আরও জানায়, এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ১৬৩টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এসএসসির সুপারিশ অনুযায়ী ২৩ হাজার ৪৪৯ জন চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা এখনও কাজ করছেন। অর্থাৎ ৩০ শতাংশের চাকরি হয়েছে বেআইনিভাবে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর গরুপাচার মামলার চার্জশিট দেখে বিচারকের চক্ষু চড়কগাছ!
এসএসসি অফিসে বসে কীভাবে মুড়িমুড়কির মতো ওএমআর শিটের নম্বর বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
Leave a Reply