ডমিনোসের ময়দার ট্রের উপর টয়লেট ব্রাশ, চোখ কপালে নেটিজেনদের

নিউজ ডেস্ক: ফাস্টফুডের ওপর ক্রমশই নির্ভরশীল হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু কম সময়ে সাধারণ মানুষের হাতে খাবার পৌঁছাতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে বড় বড় প্যাকেটজাত খাবার থেকে শুরু করে হোটেল-রেস্তোরার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ফের এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে নেটিজেনদের কাঠগড়ায় জনপ্রিয় পিৎজা স্টোর ডমিনোস।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ডমিনোসের ভাঁড়ার ঘরের দুর্দশার ছবি। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পিৎজা তৈরির জন্য রাখা ময়দার দলা রাখা ট্রের ওপর ঝুলছে টয়লেট ব্রাশের মতো বেশ কয়েকটি জিনিস। এই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতেই ডমিনোসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে পিজ্জা প্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহু মানুষ। সাহিল কারনেনি নামে একজন আইটি গ্র্যাজুয়েট তার অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছেন। এটি বেঙ্গালুরুর হোসা রোডে অবস্থিত একটি আউটলেটের ছবি বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে অভিযোগের পরেই ডমিনোস ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। নেটিজেনদের আশ্বস্ত করে পিজ্জা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা স্বাস্থ্যবিধি এবং খাদ্য নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে কঠোর বিশ্ব মানের প্রোটোকল অনুসরণ করি। এই অপারেটিং মান লঙ্ঘনের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। এই ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। গ্রাহকদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক খাবারের স্টোরে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও মাংসের মধ্যে মিলেছে পোকা, কোথাওবা সাপের খোলস, কোথাও মিলেছে টিকটিকির লেজ। ভারতের স্টোর ছাড়াও বিদেশেও এই অভিযোগের অন্ত নেই। গত মাসেই অস্ট্রেলিয়ান ডমিনোস স্টোরের বিরুদ্ধে একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, পিৎজার মধ্যে ছিল একটি আরশোলাও।

এই অভিযোগের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা। কিন্তু তার পরের ঘটনা ছিল আরও বিভৎস। ডমিনোস পিৎজার রান্নাঘরের অবস্থা ছিল শোচনীয়। সেখানে আরশোলার বাসা ও নোংরার স্তূপ লক্ষ্য করা যায়। এর কারণে প্রায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ডমিনোস পিৎজার ওই স্টোরটিকে।