মঙ্গলকাব্য ছোঁয়া বারুইপুর হতেই পারে আপনার ট্রাভেল ডেস্টিনেশন

কথিত আছে নীলাচলে যাওয়ার পথে বারুইপুরে পা পড়েছিল চৈতন্যদেবের। সেখানে আদিগঙ্গার ঘাটে বসে এক রাত কীর্তন করে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই শ্মশান সংলগ্ন ওই ঘাটের নাম হয় কীর্তনখোলা ঘাট। শান্ত পরিবেশে পছন্দ হলে একদিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারে মঙ্গল কাব্যের সাক্ষী হয়ে দাাঁড়িয়ে থাকা বারুইপুর থেকে।

যাওয়ার পথেই এক বার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন চিন্তামণি কর পাখিরালয়ে। কলকাতা থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাখিরালয়ে প্রায় দুশো প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখি দেখতে বা পাখির ডাক শুনতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের কাছে এটি স্বর্গরাজ্য। চেনা-অচেনা প্রচুর পাখির দেখা মেলে এখানে।

এখানে রয়েছে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো বারুইপুর রাজবাড়ি বা রাসবাড়ি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা কপালকুণ্ডলা, দুর্গেশনন্দিনী এবং বিষবৃক্ষের মতো উপন্যাস লেখা হয়েছিল বারুইপুর রাজবাড়িতে বসেই। এ ছাড়াও আরও এমন অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে বারুইপুরের সঙ্গে। এছাড়াও বারুইপুরেই রয়েছে দেবী কালিকার আরও জাগ্রত এক রূপ, যা শিবানীপীঠ নামে পরিচিত।

শিয়ালদহ থেকে বারুইপুর যাওয়ার অসংখ্য লোকাল ট্রেন রয়েছে। ঠিক মতো ট্রেন পেয়ে গেলে পৌঁছতে সময় লাগবে ঘণ্টা দেড়েক। এ ছাড়াও সড়কপথে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস রোড ধরে কামালগাজি বাইপাস হয়ে বারুইপুর পৌঁছতেও প্রায় ট্রেনের মতোই সময় লাগে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *