স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলা থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার – অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিসিসিআই এর সভাপতি। এবার জাতীয় ফুটবল ফেডারশনের সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন এই বাংলার প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। ২৮ আগস্ট শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এআইএফএফ ( অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারশন) এর নির্বাচন হতে চলেছে।
সৌরভের মত বাইচুংও জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিকিমের ছেলে হলেও, বাইচুংয়ের ফুটবলের সবটাই কলকাতাকে ঘিরে। দেশের ফুটবল ফেডারশনের খোল নলচে বদলে ফেলতে চায়, মহামান্য শীর্ষ আদালত। হতে পারে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে ফিফা ব্যান করেছে ভারতকে, কিন্তু এই জট কাটাতে দ্রুত নির্বাচন করে কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় কোর্ট।
নুতন ভাবে দেশের ফুটবল ফেডরেশনের কর্তা বাছাই করার প্রক্রিয়াতে, শুক্রবার , সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন পাহাড়ি বিছে। তবে বাইচুং একা নন। সভাপতি পদে জমা পড়েছে আরও ৬ টি মনোনয়ন পত্র জমা হল। এঁদের মধ্যে আছে বাংলা বিজেপি-র সক্রিয় কর্মকর্তা , প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে, মানভিন্দর সিং, শাজি প্রভাকরণ, এন এ হ্যারিস, ইউজেনেশন লিঙ্গদোহ এবং ভালাঙ্কা আলেমাও।
এঁদের অধিকাংশের নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু বাইচুং এমন লড়াইয়ে নামবেন কিনা তা নিয়ে দোটানায় ছিল সকলে। সুপ্রিম কোর্ট যে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছে, তাঁদেরই একজন দেশের প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। এই ফুটবলারটি আর প্রয়াত সুরজিৎ সেনগুপ্ত ছোট্ট ভাইচুংকে সিকিম থেকে বাছাই করে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন।
ফোনে বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” যবে থেকে দেশের ফুটবল ফেডারেশন চলছে, তবে থেকে জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলাররা প্রশাসনিক পদে বসেননি। আমার মনে হয়, ফুটবলাররা প্রশাসনিক পর্যায়ে দায়িত্ব নিলে – ফুটবলের অনেক সমস্যা কেটে যেতে পারে। প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার হয়ে খেলার পর এই পদে থেকে দেশের জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে।”
তিনি এটাও বলেন, এতোদিন ফেডারেশনে ফুটবলার হয়ে ভারতীয় ফুটবলার উন্নতির কথা কেউ বলার সুযোগ পাননি। এআইএফএফ এর সাংগঠনিক পরিকাঠামো ছিল তাঁদের হাতে, যাঁরা বড় পর্যায়ে ফুটবল খেলেননি। ফুটবলাররা প্রশাসনিক পদে এলে লাভই হবে।
ফিফার ব্যান প্রসঙ্গে বাইচুং বলছেন, ” আমার ব্যক্তিগত মত হল, এটা অনেকটা লঘু পাপে গুরু দণ্ডের সমান। আবার এটাও ঠিক , নুতন সিস্টেম তো আসতে চলেছে। সঠিক পথে ভারতীয় ফুটবল চলার রাস্তা খুঁজে পেতে পারে। সঠিক কাজে সঠিক লোক থাকলে , উন্নতি হতে বাধ্য।”
শুধু বাইচুং নন, সোমবার সুপ্রীম কোর্টের শুনানির দিকে নজর সকলের। এইদিন নির্বাচনের নীতি নির্ধারণ করা হতে পরে। দেশের প্রাক্তন এই জাতীয় ফুটবলারটি মনে করেন, ইউরোপে বিভিন্ন দেশে প্রাক্তন ফুটবলাররা প্রশাসনিক পদে বসে কাজ চালাচ্ছেন। সেখানে পরিকাঠামো, সিস্টেম সব সামলে সেখানকার ফুটবলে অনেক উন্নতি হচ্ছে। বেকেনবায়ারের হাতে (২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড কাপের মূল কমিটিতে) দেশের ফুটবল চলে যাওয়ার পর, জার্মানি এগিয়েছে। আবার প্লাতিনিকে দেখুন। তিনি উয়েফার শীর্ষ কর্তা হয়েছিলেন।
এখন ফিফার ব্যান চালু হয়ে যাওয়ায়—
- ভারতীয় মহিলা ফুটবলার ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
- গোকুলাম কেরালা আবেদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করুন যাতে, এএফসি উইমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে পারে।
Leave a Reply