ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: একেই লাগাতার বৃষ্টিতে দানবের মতো ফুঁসছে তিস্তা। জলস্তর এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে ১৫-২০ ফুট। তার মধ্যেই ভোররাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি। সব মিলিয়ে সিকিমের বিস্তীর্ন এলাকা প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ভাসছে! ভেসে গেছে বাড়িঘর, এমন ভেঙে পড়েছে আস্ত হ্রদ! জলের চাপে ভেঙে পড়েছে ব্রিজ, বাকি সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চুংথাম এলাকার। সব মিলিয়ে রাতারাতি অর্ধেক জলের তলায় চলে গেছে বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের সিকিম।
তিস্তার জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ৩৪৮৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যেই ভোররাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাতের আঁধারে বাঘের মতো গর্জন করতে করতে প্রবল বেগে জল ঢুকে পড়েছে শহরে। এক ধাক্কায় যেন দোতলা বাড়ির সমান উঁচু হয়ে গেছে তিস্তা। সেই জলের তোড়ে ভেসে গেছে বহু বাড়ি, দোকান, স্কুল। রাস্তার অর্ধেক অংশ কার্যত নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং যাওয়ার বিকল্প রাস্তার উপর দিয়ে হু হু করে বইছে ঘোলা জল।
উঁচু পার্বত্য এলাকাগুলিও জলস্ফীতি থেকে রেহাই পায়নি। চুংথাম এলাকা সিকিমের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। সিংটামের কাছে বারদাং-এ পার্ক করা সেনা গাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৩ জন কর্মী নিখোঁজ। বেশকিছু যানবাহন ডুবে গেছে বলে জানা গেছে, বিবৃতিতে জানিয়েছে পূর্বাঞ্চলের সেনা সদর। নিখোঁজ সেনাদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনা বাহিনী। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে সেনা নৌকা উল্টে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করল সেচ দপ্তর। তিস্তার পাড়ে মাইকিং-এর পাশাপাশি নদীর ধারে থাকা লোকেদের হুইসেল বাজিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
Leave a Reply