Scottish Church Collegiate School: প্রায় দ্বিশতবর্ষের দোড়গোড়ায় এসে ‘স্কটিশ’-এ ভাঙল প্রথা! একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে এবার প্রবেশাধিকার ছাত্রীদের

ইউ এন লাইভ নিউজ: ১৯৩ বছর পর একাদশ ও দ্বাদশে ছাত্রীদের জন্যও দরজা খুলে দিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে স্কুলের ডাফ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে কো-এড বিভাগ চালু হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।

১৮৩০ সালে শিক্ষানুরাগী আলেকজন্ডার ডাফ, ‘চার্চ অফ স্কটল্যান্ড টু ইন্ডিয়া’-র প্রথম মিশনারি হিসাবে জেনালের অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিশন চালু করেন। পরে সেটি স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং স্কুল হিসাবে পরিচিত হয়। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার ডাফের জন্মদিনে শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা করলেন। বছরখানেক আগে প্রাথমিকেও কো- এড বিভাগ শুরু হয়েছিল।

এখনও মাধ্যমিকের ফল বেরোয়নি, ইতিমধ্যেই ফল বেরোনোর দিন ঘোষিত হয়েছে। এই খবরটা জানা মাত্রই ৬৫-৭০ জন ছাত্রী একাদশের ফর্ম ভরেছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। ২৬ শে এপ্রিল দিনটাকেই শুভদিন হিসাবে বেছে নেয় স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুল। একটি ছোটো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভর্তি হওয়া ওই ছাত্রীরা এদিন স্কুলে আসেন। তাদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ।

তাঁদের তরফ থেকে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখন বিধানসরণীতে তাঁদের যে মূল ক্যম্পাস রয়েছে সেখানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্ররাই পড়াশোনা করবে। প্রায় দুশো বছরের পুরানো এই স্কুলে প্রথা ভেঙে যে পরিবর্তন আনা হল সেই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল জানাচ্ছেন, আরও এগিয়ে যাবে স্কটিশ চার্চ। এছাড়া নতুন একটি কো-এডুকেশন ক্যাম্পাস তৈরি করা হয়েছে ১৮ ডাফ স্ট্রিটে, ডাফ চার্চের পাশে। সেখানেও ছেলে ও মেয়েরা ভর্তি হতে পারবে। তবে তা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য নয়। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত ইংরেজি মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম শ্রেণির পড়াশোনার জন্য। পড়ুয়া সেখানে যত বাড়বে ততই সেখানে শ্রেণি বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল জানাচ্ছেন, “পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের পড়ানোর মতো পরিকাঠামো ভবিষ্যতে তৈরি করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
এছাড়া স্কুলের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, মেয়েদের জন্য পরিকাঠামোও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য কমন রুম, আলাদা শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার হয়েছে। ছেলে এবং মেয়েদের একসঙ্গে পড়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের”।

স্কুলের এহেন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি শহরতলির পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। তারা স্কুল কতৃপক্ষের কাছে অনেকদিন থেকেই এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন।