ইউ এন লাইভ নিউজ: আগামী ষষ্ঠ দফায় মেদিনীপুরে নির্বাচন তার আগেই বিজেপি ছাড়লেন প্রদীপ পট্টনায়েক, বঙ্কিম মাইতির মতো অভিজ্ঞ নেতারা। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচ বার বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রদীপ পট্টনায়েক। মেদিনীপুরে বিজেপির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দলের একজন লড়াকু কর্মী। তিনি এদিন শাসক দলে যোগদান করায় সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। তিনি একবার লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন । খড়্গপুর কলেজে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবিভিপির মাধ্যমে ১৯৭৫ থেকে। তারপর বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। প্রদীপের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে ক্ষুদ্ধ গেরুয়া শিবির। টিএমসি নেতা জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক বিজেপির নীতি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন। বিজেপির ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদ্যস্য ছিলেন তিনি। বিজেপি ছুট তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ”প্রদীপের যোগদানে বিজেপির স্থানীয় সংগঠন ভেঙে যাবে। বাংলা মেনে নেবে না কেন্দ্রের এই বঞ্চনা।”
তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে প্রদীপ জানান, ‘‘যে আদর্শ নিয়ে বিজেপি করেছি, তা এখন আর নেই। খড়্গপুর কলেজে প্রথম এবিভিপি করেছি। আমি চাইনি যে আমাকে ভোটে লড়ার টিকিট দিন। কিন্তু, মেদিনীপুর আসন নিয়ে শুধু পরীক্ষানিরীক্ষা করেছে ওরা। দিলীপবাবু জিতেছিলেন এই আসন। তাঁকে কেন সরিয়ে অন্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হল? ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে বিরোধিতা করেছিলাম। বলেছিলাম, খড়্গপুরে শিক্ষিত কাউকে প্রার্থী করতে। তখন আমাকে দল বহিষ্কার করা হবে বলেছিল। দিলীপ ঘোষ ২০২১ সালে অনুরোধ করেছিলেন বিরোধিতা না করার জন্য।’’ এদিন তিনি ঘাটাল কেন্দ্রে প্রার্থী বাছা নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন। প্রদীপের কটাক্ষ, ‘‘হিরণ শুভেন্দুকে ধরে টিকিট পেয়ে গেল । আর মেদিনীপুর থেকে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করা হয়েছে ,তাঁকে তো চিনিই না।’’
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বঙ্কিম ছিলেন কেশিয়াড়িতে বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এ ছাড়াও ফুটবলার মুক্তিপ্রসাদ মান্না, সমাজসেবী ইতু গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই যোগদান নিয়ে তৃণমল নেতা সুজয় বলেন, ‘‘দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আদর্শ মেনে যোগদান করতে চেয়েছিলেন ওঁরা। তাই যোগদান করানো হল। তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নিশ্চয় দলের লাভ হবে।’’
আর এ নিয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের বক্তব্য, ‘‘প্রদীপ পট্টনায়েক বিগত ছয়-সাত বছর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তেমন ভাবে ছিলেন না। এত দিন বিজেপিতে থেকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পর এখন দলের বিরুদ্ধে কথা বলে যদি তৃণমূলে যোগদান করতে চান, তাহলে করতেই পারেন।’’
এছাড়াও এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বঙ্কিম বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন কেশিয়াড়ির। ফুটবলার মুক্তিপ্রসাদ মান্না, সমাজসেবী ইতু গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই যোগদান নিয়ে তৃণমল নেতা সুজয় বলেন, ‘‘দিদির আদর্শ মেনে তাঁরা তৃণমূলে কাজ করতে চেয়েছেন । তাই দল তাঁদের সাদরে গ্রহণ করেছেন।”
বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের মন্তব্য , ‘‘প্রদীপ পট্টনায়েক বিগত ছ’য়-সাত বছর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তেমন ভাবে অংশগ্রহণ করতেন না । এত দিন বিজেপিতে থেকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পর এখন দলের বিরুদ্ধে কথা বলে যদি তৃণমূল যান,অবশ্যই যেতে পারেন।”
+
Leave a Reply