Loksabha Election 2024: ভোট পরিদর্শনে গিয়ে হামলার মুখে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু

ইউ এন লাইভ নিউজ: শনিবার সম্পন্ন হল ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। বঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে ভোট ষষ্ঠীতে অশান্তির খবর সারাদিন ধরে উঠে এসেছে। ভোট পরিদর্শনে বেড়িয়ে ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী তথা চিকিৎসক প্রণত টুডুর মাথা ফাটে ইটের ঘায়ে। জখম হন বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরাও। ষষ্ঠ দফার ভোটে গড়বেতায় নির্বাচন পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। গড়বেতার মোগলাপাতায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গাড়ি লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি সামলা দিতে গিয়ে প্রার্থীর নিরাপত্তায় থাকা সিআইএসএফ জওয়ানেরও মাথা ফেটে যায়। হামলায় এলাকা ছেড়ে কার্যত দৌড়ে পালান প্রার্থী প্রণত টুডু। বাদ যায় নি সংবাদ মাধ্যমও। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর ও পাওয়া যায়। সোশাল মিডিয়াতে এই ঘটনার কথা প্রণত টুডু নিজেই জানান।

ষষ্ঠ দফায় জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে সকাল থেকে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটই চলছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে।উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের অন্তর্গত গড়বেতার মোগলাপাতা এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা চিকিৎসক প্রণত টুডু। তাঁকে গ্রামবাসীরা কার্যত তাড়া করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে ঝামেলা হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। হাতে ইট নিয়ে তেড়ে আসেন গ্রামবাসীরা। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁরা সকলে তৃণমূল কর্মী, সমর্থক বলে দাবি স্থানীয় গেরুয়া শিবিরের।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রার্থীর নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানরা তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান। কিন্তু ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় এক সিআইএসএফ জওয়ানের। এরপর প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালান বিজেপি প্রার্থী। প্রণত টুডুর অভিযোগ, ওখানকার বুথে বিজেপি সমর্থকরা ভোট দিতে গেলে তৃণমূল তাঁদের বাধা দিয়ে জোর করে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে। সেই খবর পেয়েই তিনি এসেছিলেন পরিস্থিতি দেখতে। কিন্তু গ্রামে ঢুকতেই যেভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হল, তাতেই স্পষ্ট তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভোট পরিচালনা করছে বলে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, ”জওয়ানরা ও নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকলে বেঁচে ফিরতাম না।” এই ঘটনা জানার পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে ওই এলাকায় আরও বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।