নন্দীগ্রাম ভোট পুনর্গণনা:  সুপ্রিমে ধাক্কা শুভেন্দুর, মামলা রইল হাইকোর্টেই

নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ভোট গণনার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলন শুভেন্দু। ভোটে কারচুপির অভিযোগে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিরোধী দলনেতার সেই আবেদন খরিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

নন্দীগ্রামের ভোট গণনা মামলার নিরপেক্ষ বিচার কলকাতা হাইকোর্টে পাওয়া যাবে না, এমনই দাবি করে জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তখন তিনি এই মমলা অন্য রাজ্যে সরানোর আবেদন করেন তিনি। শীর্ষ আদালতের ডিভিশান বেঞ্চের দুই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলীর বেঞ্চ শুক্রবার শুভেন্দুর সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, মামলা অন্য রাজ্যে সরানো হলে রাজ্যের মানুষের আস্থায় আঘাত লাগবে। হাইকোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, হাইকোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখতে আমরা এই নির্দেশ দিতে পারি না। মামলা চলুক কলকাতা হাইকোর্টেই।

তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির, ডেবরা বিধানসভা

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা বিধানসভার জয়ী তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির ইউএন লাইভকে জানালেন, “অকারণ কেসটাকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে অন্য রজ্যে নিয়ে য়াওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই প্রচেষ্টাতে সায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। ভোটের লড়াইতে এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি। জনসাধারণের রায়ে এরা হেরে গেছে। তাই এখন যেকোনও ভাবে এরা অশান্তি-বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছে। আগে মানুষের জন্য কাজ করুক বিজেপি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষের আস্থা আছে।

আরও পড়ুন: জামাকাপড় খুলে জুতোপেটা করতে পারি: সৌগতকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাটি প্রথমে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে যায়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের অভিযোগ তোলেন মমতা। তারপরেই নিরপেক্ষ বিচারের জন্য ওই বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আবেদন করেন তিনি।

মমতার আবেদনের কারণেই ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তারপর ওই মামলা বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে যায়। তারপরেই অন্য রাজ্যে মামলা সরানোর আবেদন করেন শুভেন্দু। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।