ইউ এন লাইভ নিউজ: ৬-১! এটাই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জয়-পরাজয়ের রেকর্ড। জয়ের পাল্লা অনেকটাই ভারী ভারতের দিকে। ২০২১-র বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে পরাজয়ের পর ২০২২-র বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির চিরস্মরণীয় ৮২ রানের ইনিংস এখনও ভাসমান ক্রিকেটভক্তদের স্মৃতিতে। কিন্তু ২০২৪-র বিশ্বকাপের এই ম্যাচে শুরু থেকেই ছবিটা ছিল অন্যরকম। মেঘলা আকাশের মতো দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়ে এল রোহিত-ব্রিগেডের ব্যাটিংয়েও।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আর সেটাই আজকের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে গেল। নিউ ইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে বিতর্ক আগাগোড়াই ছিল। এদিনের ভারত-পাকিস্তান মহারণে বারবার কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টিও। প্রথম ওভারে আট রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। শাহিন আফ্রিদির বলে ছক্কা হাঁকান হিটম্যান রোহিত শর্মা। কিন্তু ইনিংসের শুরুটা যেভাবে হল, বাকিটা সে পথে এগোল না। বৃষ্টি এসে ফের বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। তার পরই দুই ইন্দ্রপতন। নাসিম শাহের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন বিরাট কোহলি (৪)। তৃতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে আউট হলেন ভারতের অধিনায়কও (১৩)। ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত।
সেখান থেকে দলকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল ঋষভ পন্থ আর অক্ষর প্যাটেলের জুটি। প্রথম দিকে মহম্মদ আমিরদের সুইং তাঁদেরও সমস্যায় ফেলেছিল। কিন্তু নাসিম শাহ বোলিংয়ে ফিরতেই ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন অক্ষর (২০)। তার পর শুধু ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আর আসা। সূর্যকুমার যাদব (৭) রবীন্দ্র জাদেজা (০), শিবম দুবে (৩) সবাই রান করতে ব্যর্থ। তাও কিছুটা লড়াই করেছিলেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনিও ফিরে গেলেন ৪২ রান করে। আইপিএলের পর এখনও নিজের ফর্ম খুঁজে চলেছেন হার্দিক (৭)। এত শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপও এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস থামল মাত্র ১১৯ রানে।
নাসাউ স্টেডিয়ামের পিচে কি এই রান যথেষ্ট? কোনও দলই এখনও অবধি খুব বড় রান তুলতে পারেনি এই পিচে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরেছেন বাবররা। আবার ভারতের কাছে বুমরাহ, অর্শদীপ, সিরাজের মতো পেসার আছেন। ফলে এই রান তুলতেও কালঘাম ছুটতে পারে বাবর-রিজওয়ানদের। পাকিস্তানের ব্যাটাররাও চাপে থাকবেন আগের ম্যাচের নিরাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে। ভারতকে এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে জেতানোর দায়িত্ব এবার বোলারদের কাঁধে।
Leave a Reply