ইউ এন লাইভ নিউজ: প্রথম দল হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে কোয়ালিফাই ভারতের। বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল ভারত। পাকিস্তান ম্যাচের পর ভারতীয় বোলারদের দাপট দেখা গেল মার্কিন ব্যাটারদের বিরুদ্ধেও। টি-২০ ক্রিকেটে নিজের সেরা পারফর্মেন্স অর্শদীপ সিংয়ের। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। টি-২০ এবং ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় বোলার হিসাবেও সেরা পারফর্মেন্স। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার অর্শদীপের ঝুলিতে। তাঁর দাপটে ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১০ রান তোলে আমেরিকা। জবাবে ১০ বল বাকি থাকতে ১৮.২ ওভারেই জয়লাভ করে ভারত। আয়ারল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন ছন্দে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। অর্ধশতরান পান। খেলেন ৪৯ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ইনিংসে রয়েছে দুটো ছয় এবং চার। এটিই টি-২০ ক্রিকেটে তাঁর ৫০তম অর্ধশতরান। কঠিন পরিস্থিতি এবং পিচের কথা মাথায় রেখে নিজের স্বভাবের বিপরীতে একটি ধীর গতির কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গ দেন ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত শিবম দুবে। চতুর্থ উইকেটের জন্য ৬৭ রান যোগ করে সূর্যকুমার-শিবম জুটি।
১১১ রান তাড়া করতে নেমে পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না টিম ইন্ডিয়ার জন্য। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। দশ ওভারের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান ছিল রোহিতদের। তবে শেষপর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটল না। রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা মোটেই ভাল হয় নি ভারতের। পাকিস্তান বধের নায়ক সৌরভ নেত্রাভালকার এ ম্যাচেও শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ভারতীয় টিমের দুই স্তম্ভ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে। ২.২ ওভারের মধ্যে ভারতের দুই মহাতারকা ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সূর্যকুমারের সহজ ক্যাচ ফেলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই খেলোয়াড়। ক্যাচটা নিতে পারলে ম্যাচের রেজাল্ট অন্য হতেই পারত। কিন্তু ভাগ্যের জেরে সেই যাত্রায় বেঁচে যান সূর্য।
আবারও ব্যর্থ বিরাট কোহলি। পরপর তিন ম্যাচে রান এল না কিং কোহলির ব্যাটে। এদিন প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। নেত্রাভালকারের বলে উইকেট-কিপারের হাতে ধরা পড়েন। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। বেশিক্ষণ টেকেন নি রোহিতও। এবারও নায়ক সেই নেত্রাভালকার। মাত্র ৩ রানে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া।
নিজের ইনিংসের শুরুটা ভালই করেছিলেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু ১৮ রানে আলি খানের দারুণ একটি বলে বোল্ড হন। কিন্তু তারপর খেলা ধরে নেয় সূর্যকুমার যাদব এবং শিবম দুবে-র পার্টনারশীপ। শুরুটা নড়বড়ে করলেও ইনিংসের শেষ দিকে হাত খোলেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। সুযোগ পেয়েই আইপিএলের কয়েকটা ট্রেডমার্ক শট বেরিয়ে আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৫০ রানে অপরাজিত সূর্য। ৩১ রানে অপরাজিত দুবে। নক-আউট পর্বের আগে এই দুজন রান পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরল ভারতীয় শিবিরে।
টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। কিন্তু অর্শদীপের দাপটে ৮ উইকেটে মাত্র ১১০ রানে শেষ হয় মার্কিনিদের ইনিংস। প্রথম বলেই উইকেট ভারতীয় পেসারের। প্রথম ওভারে পান জোড়া উইকেট। বিপক্ষের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি তাঁর সামনে। সর্বোচ্চ রান নীতিশ কুমারের (২৭)। এদিন উইকেট পাননি জসপ্রীত বুমরাহ। জোড়া উইকেট শিকার করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তিন ম্যাচেই উইকেট পেলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাঁর মোট উইকেট সংখ্যা সাত। আইপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে আবারও ভারতীয় জার্সিতে চেনা ছন্দে হার্দিক।
Leave a Reply