ইউ এন লাইভ নিউজ: পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত থাকা ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে। ওই কমিটি রাজ্যে এসে পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।গেরুয়া শিবির সূত্রে এমনই খবর।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে বিক্ষপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন।এই অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পর্ব শেষ হলেও জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকেরা হিংসার শিকার হচ্ছে। সেইজন্য এখনই রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে প্রত্যাহার করা না হয় সেই দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন শুভেন্দু। এই মামলার রায় জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাশ পড়েনি বঙ্গ রাজনীতিতে। তাই এবার রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দল পাঠাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত থাকা ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। যারা রাজ্যে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি এই দল বাংলায় ঘটে চলা এই হিংসার ঘটনার রিপোর্ট জমা করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কমিটিতে লোকসভা এবং রাজ্যসভার চার সদস্য রয়েছেন। লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, যিনি কমিটির আহ্বায়ক এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজ লাল এবং কবিতা পাতিদার।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে , ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জুড়ে চলা লোকসভা নির্বাচন, নির্বাচনকমিশনের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোথাও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যেখানে ভোটের ফল ঘোষণার পরেও অশান্তি অব্যাহত। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে। এই পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিজেপি অভিযোগ করেছে, তাঁর দলের গুন্ডারা বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের আক্রমণ করছে আর সেটা নীরব দর্শকের মত দেখছেন তৃণমূল নেত্রী। হাইকোর্টের নজরদারির পরেও এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।
Leave a Reply