ইউ এন লাইভ নিউজ: মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। আর সেই সিদ্ধান্তেরই ফল ভুগছে বিজেপি সরকার। রথযাত্রার আগেই জগন্নাথ ধামে থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। পুরী মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বার খুলে যাওয়ায় পুণ্যার্থীদের কাছে উপরি পাওনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪টি দ্বার খোলার পর থেকে সাত দিন ধরে ভক্তদের ভিড় বেড়েই চলেছে। ভিড় বেড়ে যাওয়ার কারণে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। উপচে পড়া ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিয়ে বিজেপি সরকারকে।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১২ জুন বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় পুরী মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারই খুলে দেওয়া হবে। ১৩ জুন থেকে চারটি দ্বার দিয়ে ভক্তদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে পুরীর মন্দিরের তিনটি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি ভুবনেশ্বরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রশাসনকে সাহায্যের সবরকম আশ্বাস দেওয়া হয় শ্রী মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জগন্নাথদেবের স্নান যাত্রা, রথ যাত্রা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই তিনি পর্যবেক্ষণে পৌঁছন জগন্নাথধামে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, রবিবার প্রায় ২ লাখ পুণ্যার্থী জগন্নাথ দর্শনে গিয়েছিলেন। মারাত্মক গরমে মন্দিরের ভিতর অধিকাংশেরই দমবন্ধ অবস্থা হয়েছিল। রমাকান্ত দাস নামে এক ভক্ত বলেন, ‘মন্দির প্রবেশ করার জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। মন্দিরের ভিতরেও অনেক ভিড় ছিল। অপেক্ষায় থাকা ভক্তরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।’ হরিহর কর নামে অপর এক ভক্ত বলেন, ‘চারটি গেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালো। কিন্তু, সরকার বুঝতেই পারেনি সে ক্ষেত্রে এত মারাত্মক পরিমাণ ভিড় হতে পারে। রথ যাত্রার ছুটির জন্যই অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করবেন পুরীতে।’
Leave a Reply