ইউ এন লাইভ নিউজ: ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে একক গরিষ্ঠতায় সরকার গড়েছিল বিজেপি। ‘ইসবার ৪০০ পার’ স্লোগানটিকে সত্যি করে উঠতে পারল না বিজেপি, ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারলো না গেরুয়া শিবির। সেই কারণে মিলিজুলি সরকার গড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। এদিকে প্রতিপক্ষ এবার তুলনামূলক দুর্বল হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিরোধী শিবির। লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিনই দেখা গেল সেই চিত্র।
লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিনই ধুন্ধুমার! একদিনে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্যরা এক এক করে সাংসদ হিসেবে শপথ নিচ্ছেন, অন্যদিকে ঠিক তখনই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সংবিধান হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্যদের একাংশ। সেখানে দেখা যায়, কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে থেকে শুরু করে তৃণমূলের সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, সৌগত রায়দের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদবরা।
বর্তমানে ‘নেট’ এবং ‘নিট’ ইস্যু নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। পরীক্ষায় অনিয়ম, প্রশ্ন ফাঁস সহ নানান অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী জোটের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, এই নিয়ে চলতি অধিবেশনে সরব হবেন তারা। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিন দেখা গেল সেই দৃশ্য। বিরোধী জোটের প্রত্যেকে অবশ্য এদিন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনে উপস্থিত ছিলেন না। একটি অংশ যখন সংবিধান হাতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, আরেকটি অংশ তখন ভেতরে ছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যখন এদিন সাংসদ হিসেবে শপথ নিচ্ছিলেন, তখন বিরোধীদের বেঞ্চ থেকে ‘নিট’, ‘নিট’ বলে স্লোগান উঠতে শুরু করে।
অন্যদিকে আবার প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন নিয়ে মতান্তরের কারণে সংসদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটের কথা বলেন ডিএমকে-র নেতা টিআর বালু, কংগ্রেসের কে সুরেশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। সর্বাধিকবার জিতে আসা সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে এই দায়িত্ব না দিয়ে কটকের বিজেপি সাংসদ ভর্তৃহারি মেহতাবকে কেন এই দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী জোট।