Sayantika-Reyat

Prohibition of Oath Taking: দুই বিধায়ককে শপথ গ্রহণে বাধা, অবস্থান বিক্ষোভে সায়ন্তিকা-রেয়াত

ইউ এন লাইভ নিউজ: বুধবার ২৬ জুন বিধানসভার গাড়ি বারান্দার নীচে অবস্থান করেছিলেন দুই বিধায়ক। বৃহস্পতিবার বিআর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসলেন সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। শপথ গ্রহণ করতে পারেননি তাঁরা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে কার্যত স্নায়ুযুদ্ধ চলছে দুই বিধায়কের। এই অবস্থায় অবস্থান বিক্ষোভের পথেই অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়করা। রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে অবিলম্বে যেন তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় এই আবেদন রেখেছেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।

তবে পরিস্থিতি যে এতটা সহজ নয় এই কথাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন। তিনি রাজভবনে দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে চান। বুধবার রাজভবনের তরফ থেকে সেই আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সায়ন্তিকা আর রেয়াত সেখানে যেতে চাননি। সায়ন্তিকারা বিধানসভায় শপথ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লি রওনা হয়ে গিয়েছেন। তিনি কবে ফিরবেন? তাই নিয়েও চর্চা রয়েছে। রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ না করালে কোনওভাবেই তাঁরা কাজ শুরু করতে পারবেন না। সংবিধান অনুযায়ী এ কথাই বলা রয়েছে। ফলে সমস্যাতে রয়েছেন দুই বিধায়ক রাজ্যপালের উপরেই তাঁদের নির্ভর করে থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন বিধানসভায় যান অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলার পর পৌঁছে গিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে। সেখানেই তারা অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। শপথ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ চলবে একথা জানানো হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রীরাও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন নবান্ন থেকে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেতার পর এক মাস ধরে বসে রয়েছেন আমার বিধায়করা। রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ নির্বাচিত করেছেন। ওদের শপথ নিতে না দেওয়ার কী অধিকার রয়েছে ওঁর?”