ইউ এন লাইভ নিউজ: শহর কলকাতার বুকে একের পর এক মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। যে সমস্ত রুটে সেই কাজ চলছে তার মধ্যে অন্যতম হল নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটটি। ইতিমধ্যেই এই রুটের কিছুটা অংশে পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশে মিলছে সেই পরিষেবা। এখন মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা বেলেঘাটা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ পূর্ব কলকাতার ই এম বাইপাস সংল্গন মেট্রোপলিটান এলাকার ঠিক উল্টো দিকে যে বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশন নির্মীত হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকেই মিলবে নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষগামী মেট্রো রেল। নিউ গড়িয়া থেকে আবার ধরে নেওয়া যাবে দমদম বা দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো রেল।
বর্তমানে, নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ থেকে রুবি মোড় বা হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত ৫.৪০ কিলোমিটার রুটে মেট্রো চালু রয়েছে। আর বেলেঘাটা পর্যন্ত বিস্তৃত আরও ৪.৩৯ কিলোমিটার অংশটি কমিশনিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়নের পরে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে এই অংশে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা খুবই তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মার্চ মাসে কবি সুভাষ এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত অংশের পরিষেবার উদ্বোধন করেন। অরেঞ্জ লাইনের মোট ২৮.৯০ কিলোমিটার করিডোরের অগ্রগতি সুচারুভাবে চলছে বলেই জানা গিয়েছে। বাইপাসের ট্র্যাফিক জ্যাম কমাতে এবং নিউ টাউন এবং রাজারহাটের মতো এলাকাগুলির সঙ্গে কলকাতার অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বাড়াতে আগামীদিনে এই লাইনটি বিশেষ কার্যকরী হয়ে উঠবে বলেই আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে নিউ টাউন থেকে এয়ারপোর্ট অংশের কাজেরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর। আইটি হাব থেকে সিটি সেন্টার-২, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নব্বই শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ইলেক্ট্রিক, সিগন্যাল ও টেলিযোগাযোগের কাজ চলছে। এই করিডোরে মোট ১০টি স্টেশন থাকছে, যা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে মিলিয়ে মিশিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের সুবিধার জন্য রয়েছে এসকেলেটর, লিফট, সিঁড়ি, পানীয় জলের সুবিধা, শৌচাগার, আধুনিক প্ল্যাটফর্ম, সেলফ টিকিটের জন্য স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, জরুরি আলো, এবং আরও অনেক কিছু।
Leave a Reply