ইউ এন লাইভ নিউজ: বর্ষায় নাজেহাল সারা দেশ। বর্ষা রেহাই পাচ্ছে না কোন রাজ্যই। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশ। উদ্ধারকার্য শুরু করে দেওয়া হয়, ঘটনা ঘটার পরেই কিন্তু এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪। কুলুতে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপাশা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। ধসে ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর বাড়ি। রবিবার অর্থাৎ ৪ আগস্ট মান্ডি এবং কুলু থেকে আরও চারটি দেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল।
কুলু, মান্ডি এবং শিমলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। সরকারী তথ্য অনুসারে, ৩১ জুলাই রাতে কুল্লুর নির্মন্দ, সাঁজ এবং মালানা, মান্ডির পাধার এবং সিমলার রামপুর মহকুমায় মেঘভাঙা বৃষ্টির পর থেকে এখনও ৪০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার অর্থাৎ আগস্টের ৫ তারিখ পঞ্চম দিনের সকাল থেকে দুর্যোগ কবলিত হিমাচল প্রদেশে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, হিমাচল পুলিশ সকলে সম্মিলিত ভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে।
এমনকি ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্যে সেনাবাহিনীর দল অস্থায়ী সেতুও নির্মাণ করেছে। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্যে আনা হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফিং ডগ, এছাড়া অন্যান্য সরঞ্জাম। জোরকদমে চলছে উদ্ধার অভিযান। ২৭ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা ঢুকেছে। ৪ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ষার জেরে রাজ্য প্রায় ৬৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হিমাচলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বহু প্রাণ কেড়েছে। রাজ্য জুড়ে পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, দুর্যোগের ফলে কুলু এবং শিমলার সীমান্তে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এখনও উদ্ধারকাজ অব্যাহত, তারই মধ্যে হিমাচলের স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৮ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলে উদ্ধারকাজ ব্যহত হতে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন।
Leave a Reply