ইউ এন লাইভ নিউজ: বাম জমানার শেষ সেনাপতি ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১১ বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। বাংলার শিল্পবিরোধী তকমা মুছে ফেলে শিল্প আনার প্রথম উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেক দিন আগেই বিদায় নিয়েছেন বুদ্ধবাবু। ২০১১ সালে যাদবপুর কেন্দ্রে হারার পর থেকেই সেভাবে দলের সক্রিয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এই রাজনৈতিক চরিত্রের ফুসফুসের সমস্যা ছিল বহুদিনের। শেষ কয়েক বছর সিওপিডি-র সমস্যার জন্য বিমানে উঠতে পারতেন না। সেভাবে দলের মিটিং-মিছিল গুলিতেও যেতে পারতেন না ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য। প্রায় একযুগ সরাসরি দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ আগস্ট সকাল ৮টা ২০ মিনিটে লাল শিবিরের এই সেনাপতি পরলোক গমন করেন।
আশি বছর বয়সে নিজের বাসভবনে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সকাল থেকেই প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। শ্বাস কষ্টের কারণে অক্সিজেন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অক্সিজেনটিও নিতে পারেননি। এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোভিডে আক্রান্ত হন, কোভিডের সময় তাঁর সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত শরীর খারাপের ফলে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে তিনি বাসভবনে ফিরে এসেছিলেন। সুস্থ হয়ে উঠলেও বয়সের কারণে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল শরীরে ফলে শরীর আরও খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না সেনাপতির। ২০১৯ সালের শেষবার তিনি ব্রিগেডে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
Leave a Reply