ইউ এন লাইভ নিউজ: আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই কম-বেশি প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। একই সঙ্গে এই ইস্যুকে জাতীয় স্তরে টেনে নিয়ে যেতে দেশের একাধিক বড় শহরের বেশ কিছু হাসপাতালেও কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেই সব মামলাই গ্রহণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার এক যোগে সেই সব মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এই অবস্থায় এদিনই আর জি কর কাণ্ডে মৃতা তরুণীর বাড়িতে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ওই তরুণীর বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আশ্বস্ত করেন।
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কিনারা করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা বজায় রয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। তারই মাঝে এদিন মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোদপুরে তাঁর বাড়িতে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঘটনায় যাতে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত হয়, যাতে কোথাও এতটুকু গলদ না থাকে, সে বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেই এনিয়ে প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের কথা বলেছেন। এবার মেয়ে হারানো হতভাগ্য পরিবারকে আশ্বস্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর বাড়ি চলে গেলেন।
এ দিন বেলা পৌনে একটা নাগাদ নিহত মহিলা চিকিৎসকের সোদপুরের নাটাগড়ের বাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে ঢুকে তাঁর বাবা মা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর জি করের ঘটনার পরই ফোনে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, সময় বের করে তিনি সোদপুরে তাঁদের বাড়িতেও যাবেন।
আর জি করে হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংস ভাবে নির্যাতন করে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের তিনি ফাঁসির পক্ষে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে নিহত চিকিৎসকের পরিবার চাইলে সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থার তদন্তেও আপত্তি নেই রাজ্য সরকারের।
Leave a Reply