ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ অন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
একই সাথে, হাই কোর্ট মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের প্রশ্ন, ঘটনাটি ঘটার পরে কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশে অভিযোগ করলেন না? অন্য দিকে, মঙ্গলবারই সন্দীপ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। কার্যত তা নাকচ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। মঙ্গলবার শুনানির প্রথম পর্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘সরানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে!’’ এর পরে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘পুরস্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।’’ আদালতের ওই নির্দেশের কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা যায় সন্দীপ ছুটি চেয়েছেন। তবে আদালতের ‘নির্দেশ’-এর জন্য নয়। ওই ছুটি সন্দীপ মঙ্গলবার সকালেই চেয়েছিলেন। এর পর সেই ছুটির আবেদন কার্যত বাতিল করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, সন্দীপ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালীনই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। আর সেই ঘটনা ঘটার পরেই সন্দীপের অপসারণের দাবিতে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই দাবির চাপে সন্দীপকে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও সোমবারই বিকেল গড়াতে না গড়াতেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত জানার পর থেকে নতুন করে সন্দীপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা সন্দীপকে কলেজে ঢুকতে দেবেন না। অধ্যক্ষের নির্ধারিত কক্ষে তালাও ঝুলিয়ে দেয় তাঁরা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে আপাতত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব সন্দীপকে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্যভবন। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যালে এখন চিকিৎসক অজয় রায়ই সামলাবেন অধ্যক্ষের দায়িত্ব।
Leave a Reply