nabanna avijan

Kolkata Doctor Rape and Murder: সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন নবান্ন অভিযানের মুখ? আঙ্গুল তুলে ‘চোপ’ বললেন শুভঙ্কর

ইউ এন লাইভ নিউজ: আর জি-কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল। ন্যায়বিচারের আশায় রাস্তায় নামছে হাজার হাজার মানুষ। এবার সেই প্রতিবাদের কারণেই মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। সেই অভিযানের আহ্বান জানানো পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তিন মুখ প্রকাশিত হয়েছিলেন গত শুক্রবার। তাঁদের মধ্যে এক জন, নবদ্বীপের শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষে তোলা হয় একাধিক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে নবদ্বীপ থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সোমবার সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই মেজাজ হারালেন শুভঙ্কর। আঙুল তুলে ‘চোপ’ বলে প্রশ্নকারীকে থামাতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশিই, চাপের মুখে স্বীকার করে নেন যে, তিনি আরএসএস-এর সদস্য। শুভঙ্কর বলেন, ‘‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক সংগঠন আরএসএস। আর সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক হিসাবে আমি গর্বিত।’’

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। কিন্তু শুভঙ্করকে নিয়ে রবিবার প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সোমবার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই শুভঙ্কর দাবি করেন, ‘‘বাংলায় বিরোধী রাজনীতি করতে গেলে সকলের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।’’ তাঁর বিরুদ্ধে ৩০ থেকে ৩২টি মামলা রয়েছে বলেও শুভঙ্কর জানান। ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রশ্নে শুভঙ্কর বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে শাসকের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে গেলে জেল খাটতে হয়। আমি তিন বার জেল খেটেছি।’’ প্রথম দিন নিজেকে ছাত্র হিসাবে পরিচয় দিলেও সোমবার শুভঙ্কর বলেন, ‘‘আমি শিক্ষকতা করি। সেই সঙ্গে ছাত্রও। মঙ্গলবারের অভিযান বা তার পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হলে বা আমার প্রাণহানি হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ পুলিশের অনুমতি না মিললেও মঙ্গলবার তাঁরা নবান্ন অভিযানে যাবেনই বলে জানান শুভঙ্কররা। শুভঙ্করের সঙ্গী সায়ন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে পুলিশের তরফে করা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর নেই। কত মানুষের জমায়েত হতে পারে, কত গাড়ি আসতে পারে আমাদের জানা নেই।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে হবে জমায়েত। এর পরে মিছিল যাবে নবান্নের দিকে। পুলিশ যেখানে মিছিল থামাবে, সেখানেই দাঁড়িয়ে যাওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা সকলের কাছে এই আর্জিও জানাচ্ছি যে, নবান্নের কাছাকাছি কেউ পৌঁছে গেলেও তাঁরা যেন ভিতরে প্রবেশ না করেন। কোনও কিছু ভাঙচুরও যেন না করা হয়।’’

সোমবার দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘এই ছাত্র সমাজের কথা আগে কেউ শুনেছেন? ১০ তারিখ থেকে এরা কোথায় ছিল? আসলে শুভেন্দু লাশ সরবরাহের রাজনীতি করতে চাইছেন। যা তিনি শিখেছেন মমতার স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন।’’