ইউ এন লাইভ নিউজ: ২০২৪-এর ১১ সেপ্টেম্বর মায়ানমারের উপর তৈরি নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্য করে এগোতে শুরু করায় মৌসম ভবনের অস্বস্তি বাড়ছিল। শুক্রবার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট নিম্নচাপের চেহারা নেওয়ার পর আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। এর প্রভাবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ‘চরম ভারী’, ‘অতিভারী’ এবং ‘ভারী’ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই তালিকায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির নামও। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ‘ভারী’ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আবহবিদদের আশঙ্কা, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির প্রাবল্য এতটাই বেশি হতে পারে যে মাত্র এক ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি নামতে পারে। বাংলার উপকূলের প্রায় দোরগোড়ায় যেখানে এখন নিম্নচাপটি অবস্থান করছে, সেখানে প্রায় ৭.৬ কিলোমিটার পুরু হয়ে মেঘের স্তর জমেছে।
এই কারণেই বৃষ্টির প্রাবল্য নিয়ে চিন্তায় মৌসম ভবন। প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জোরালো বাতাস বয়ে যাওয়ার সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় বাতাসের বেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে যে নিম্নচাপটি বাংলা ও ওডিশার উপর দিয়ে এগিয়েছিল, সেটি এখন উত্তরপ্রদেশের উপর অবস্থান করছে। সেখান থেকে রাঁচি এবং বাঁকুড়ার উপর দিয়ে একটি মৌসুমি অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এই কারণেই বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।