ইউ এন লাইভ নিউজ: আবারও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টের। শিশু পর্নোগ্রাফি অর্থাৎ চাইল্ড পর্ন নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। শুধু তাই নয়, শিশুদের নিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফি দেখা পিওসিএসও আইনে অপরাধ হিসাবেই দেখা হবে। শুধু দেখা নয়, ভিডিও ডাউনলোড করাও এই আইনেই বিবেচ্য হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। একই সঙ্গে পকসো আইনে সংশোধন আনার কথাও জানিয়েছে আদালত। যেখানে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’ শব্দকে বদলে ফেলে “চাইল্ড সেক্সচুয়াল এক্সপ্লয়টেটিভ অ্যান্ড অ্যাবিউসিভ মেটেরিয়াল” করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে শিশু পর্নোগ্রাফি অর্থাৎ চাইল্ড পর্ন নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয়। যেখানে বলা হয়, চাইল্ড নীলছবি ডাউনলোড করে দেখা কখনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। এমনকি এই ধরনের অপরাধ পকসো আইনে পড়ে না বলেও জানায়। চেন্নাই’য়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এমনটাই নির্দেশ শোনায় সংশ্লিষ্ট ওই হাইকোর্ট। এরপরেই শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যলেঞ্জ জানান।
এই বিষয়ে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে এই বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয়। এই বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভুল হয়েছে তাও পর্যবেক্ষণে উঠে আসে। শুধু তাই নয়, নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্ত চেন্নাই’য়ের যুবকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় তদন্ত চলবে। শুধু তাই নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শিশুদের নিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফি দেখা কিংবা ডাউনলোড করা পিওসিএসও আইনে অপরাধ হিসাবেই দেখা হবে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও অপরাধ বলেও ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টের। এর পাশাপাশি সংশোধন আনার পরামর্শও এদিন দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে পর্যবেক্ষণ, রসংশোধনী কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারএকটি অধ্যাদেশ আনতে পারে। তবে দেশের আদালত যাতে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’ শব্দ যাতে না ব্যবহার করে এদিন সেই নির্দেশও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।