ইউ এন লাইভ নিউজ: রাজ্যের যুক্তি ছিল, ইন্ডোর-আউটডোরে কাজে যোগ দেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। বস্তুত আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিজেরাই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, ২১ তারিখ থেকে তাঁরা কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করছেন। আরজি করের প্রাক্তনী তথা অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় এ দিন জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলন চলুক। কিন্তু কর্মবিরতি তুলে রোগীস্বার্থে আপনারা কাজে ফেরার ব্যাপারটি যেন পুনর্বিবেচনা করেন।’ একই সুর শোনা যায় চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর গলাতেও।
তিনি বলেন, ‘কর্মবিরতি করেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে, এমনটা আমরা মনে করছি না। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা যে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে পরামর্শ থাকবে, এটা তাঁরা পুনর্মূল্যায়ন করুন। কর্মবিরতি না করেও আমরা সিনিয়র ডাক্তাররা যেমন রাস্তায় আছি, মনে হয় তাঁরা সেই ভাবেও কাজ করতে পারেন।’ গত দেড়মাস যাবৎ জুনিয়র ডাক্তারদের ঘাটতি পুষিয়ে এসেছেন যে সরকারি সিনিয়র ডাক্তাররা, তাঁরাও এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন দিনের পর দিন লম্বা ডিউটি করতে করতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেকেও আর কর্মবিরতিকে সমর্থন করে উঠতে পারছেন না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের একজন বলেন, ‘কর্মবিরতিতে সরকারের চেয়েও আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গরিব সাধারণ মানুষ। কর্মবিরতি বেশি দিন চললে সাধারণ মানুষের সমর্থনও ফিকে হয়ে আসবে।’ তাঁদের অনেকে মনে করেন, জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কট্টরপন্থী কিছু বামপন্থী ও অতিবাম সংগঠনের পাশাপাশি শাসক দলের বিক্ষুব্ধ একাংশের চাপেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
Leave a Reply