krishnanagar case

Krishnanagar Case: মাত্র একদিনের আলাপেই ‘ঘনিষ্ঠতা’? কৃষ্ণনগর কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ এক রহস্যময়ী তরুণীকে

ইউ এন লাইভ নিউজ: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে দুর্গাপুজোর ফাঁকা মণ্ডপে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ওই ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এ বার এক তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই তরুণী মৃতা এবং তাঁর প্রেমিকের ‘কমন ফ্রেন্ড’। কিন্তু পরিচয় মাত্র এক দিনের। সেই আলাপও আবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালে। কিন্তু ওইটুকু পরিচয়ের পর কী ভাবে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর ‘তুইতোকারি’র সম্পর্ক হল, কেনই বা ছাত্রীর হোয়াটস্‌অ্যাপ স্টেটাস দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করে ছাত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৫ থেকে ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযুক্তের সঙ্গে কার কার কথা হয়েছে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেই ওই তরুণীর খোঁজ মেলে। তদন্তের স্বার্থে ধৃত মূল অভিযুক্ত এবং ওই ‘রহস্যময়ী’কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, ওই তরুণীর দেওয়া বেশ কিছু তথ্য বিভ্রান্তিকর। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে অভিযুক্তের সঙ্গে ওই তরুণীর একাধিক বার ফোনে কথাবার্তা হয়। অভিযুক্ত এবং মৃতা তাঁর পরিচিত ছিলেন বলে স্বীকার করলেও ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী।

কৃষ্ণনগরের ওই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী গত মঙ্গলবার রাতে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ স্টেটাস দেন। তাতে নাকি লেখা ছিল, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’’ (ইউ এন লাইভ নিউজ এর সত্যতা যাচাই করেনি)। আবার ওই একই বার্তা নাকি মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের মোবাইলে পাঠিয়েছিলেন তিনি। ফেসবুক পোস্টের বয়ানও ছিল একই।

শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তরুণীকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুই আধিকারিক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত এবং মৃতার সঙ্গে আমার মাত্র এক দিনের আলাপ ছিল। দুর্গাপূজার কার্নিভালে আমার সঙ্গে প্রথমে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। ওঁর প্রেমিকের সঙ্গে আমার আলাপ সেই সূত্রেই। কার্নিভালের দিন কদমতলা ঘাটে তরুণীকে নিতে এসেছিলেন তাঁর প্রেমিক। সেখানেই কথাবার্তা বলেছিলাম।’’ সেই তরুণীই আবার জানাচ্ছেন, গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর হোয়াটস্যাপ স্টেটাস দেখে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট নিয়েছিলেন তিনি। তার পর সেটা তাঁর প্রেমিককে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলেন কী হয়েছে। কিন্তু ‘বান্ধবী’কে কেন ফোন করেননি? তরুণীর দাবি, ‘‘আমি তিন-চার বার ফোন করেছিলাম। কিন্তু ফোন তোলেনি। তাই স্টেটাসের স্ক্রিনশট নিয়ে ওর প্রেমিককে পাঠাই।’’ তাতে কী প্রতিক্রিয়া ছিল মৃতার প্রেমিকের? তরুণীর কথায়, ‘‘আমি অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘এ সব কী চলছে? তুই কী করেছিস ওর সঙ্গে?’ তখন অভিযুক্ত জবাবে বলে, ‘এ সব নিয়ে ভাবিস না। ও মাঝেমধ্যেই এ রকম করে। আগামিকাল সকালে ওকে ফোন করে নিস।’’ অভিযুক্ত যুবক কি তরুণীকে কোনও টাকা ধার দিয়েছিলেন? তদন্তকারীদের ওই প্রশ্নের জবাবে তরুণী বলেছেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল ছেলেটি। সেই টাকা ফেরত পায়নি।’’