ইউ এন লাইভ নিউজ: গত জুলাই মাসে দার্জিলিঙের পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে ছয় নতুন অতিথির ‘আবির্ভাব’ হয়েছে। ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে চারটি রেড পান্ডা এবং দু’টি স্নো লেপার্ড জন্ম নেয়। রাহালা এবং নাকা নামে রয়েছে দুটি তুষারচিতা। বুধবার তাদের দুই সন্তানের নাম রাখলেন মমতা। দার্জিলিং সফরে গিয়ে এদিন সকাল সকাল দার্জিলিং শহরের রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। যখন তিনি হাঁটছিলেন ঠিক তখন ম্যালের দিকের রাস্তা দিয়ে হাঁটার আগে দার্জিলিঙের পদ্মজা নায়ডু জ়ুলজিক্যাল পার্কের সামনে থমকে যান। চিড়িয়াখানায় এসেছে নতুন দুই অতিথি। আর সেই নতুন অতিথিদের দেখে ভীষণ খুশি হন মমতা। আর সেই খুশিতেই বুধবার দুই তুষারচিতা (স্নো লেপার্ড) শাবকের নামকরণও করলেন তিনি। একটির নাম দিলেন ‘ডার্লিং’, অন্যটির নাম রাখলেন ‘চার্মিং’। চিড়িয়াখানার সামনে দাঁড়িয়ে ওই দুটি নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চারটি রেড পান্ডারও নামকরণ করেন মমতা। তিনি জানান, চার রেড পান্ডা শাবকের নাম পাহাড়িয়া, ভিক্টরি, ড্রিম এবং হিলি। এরপর কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরে সোজা ম্যালের রাস্তা ধরে হেঁটে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। দুই তুষারচিতার নাম মুখ্যমন্ত্রী রাখায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি পার্ক কর্তৃপক্ষ। বস্তুত, ওই দু’টি শাবকের জন্মের ফলে চিড়িয়াখানায় তুষারচিতার সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়েছে। আর নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে লাল পান্ডার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯টি।
সোমবার থেকে পাহাড় সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে তুলতে চারটি ‘স্কিল সেন্টার’ চালু করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলে পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি জিটিএ, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি জানান আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সমস্ত উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠন করার পাশাপাশি ওই সমস্ত বোর্ডের অডিট, প্রকল্পের অগ্রগতির উপর নজরদারির জন্য ‘মনিটরিং সেল’ তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা।
Leave a Reply