কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল  

সোমনাথ পাঁজা : আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এই স্বল্পকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে দল। এ নিয়ে সরকার পক্ষের মধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও বক্তব্য শাসকদলের পক্ষ থেকে সামনে আসেনি।   

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আচরণের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বারবার  ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণ করে বলে শাসক দলের দাবি। সূত্রের খবর, এবার বিধানসভার অন্দরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে নিন্দা প্রস্তাব আনার ভাবনাচিন্তা করছে সরকার পক্ষ।   

আরও পড়ুন : Post poll violence: যতবার ডাকবে ততবার আসব, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে বললেন পরেশ পাল

নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই অধিবেশন। বিরোধীরা যখন বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগকে ঢাল করে বিধানসভায় ঝাঁঝ বাড়ানোর চেষ্টা করবে, সেখানে শাসকদলও চাইবে বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে সরব হতে।

এর আগেও বিভিন্ন তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, সিবিআই, ইডি নিরপেক্ষতার প্রমাণ এখনও দিতে পারেনি। তাঁদের দাবি, নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন লিখিতভাবে শুভেন্দুর কথা জানিয়েছেন বলেও দাবি শাসকদলের। এরপরও একবারের জন্যও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী তাঁকে ডাকেনি।  

 ইতিমধ্যেই গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি। শুধু তাই নয়, গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি  বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।

আরও পড়ুন : শারদ উৎসবের আগেই ইলিশ  উৎসবে মাতল বাঙালি , ঘটি বাঙাল  মিলেমিশে এক

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ”কোনও অনৈতিকতা ও দুর্নীতিকে দলে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। দলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই মেনে নেবে না দল। একই কথা বলেছেন আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসাবেই মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও কাজ করলে, মানুষকে ঠকালে দল কোনও ভাবেই কাউকে সমর্থন করবে না।”