নিউজ ডেস্ক: দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে মিথ্যে খবর পরিবেশনের অভিযোগে সংবাদ মাধ্যমকে কাঠ গড়ায় তুললেন পরিবেশ কর্মী মানেকা গান্ধি।
শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানায়, দেশের কোথাও, কোনও পথকুকুর কাউকে কামড়ালে, দায়ী হবেন নিয়মিত যাঁরা তাকে খেতে দেন তাঁরাই। সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই স্বরব হন মানেকা গান্ধি।
তিনি বলেন, আমরা ওখানে উপস্থিত ছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও কোনও রায়ে একথা বলেনি। সংবাদ মাধ্যম মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায় পথকুকুররা যদি কাউকে আক্রমণ করে, তা হলে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার খরচও বহন করতে হবে তাঁদের। সেই সঙ্গে ওই পথকুকুরদের টিকাকরণের দায়িত্বও তাঁদেরই নিতে হবে যাঁরা নিয়মিত তাদের খেতে দেন এবং যত্ন করেন।
কেরল ও মহারাষ্ট্র-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাগল হয়ে যাওয়া কুকুরদের মেরে ফেলার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল স্থানীয় পুরসভা। এই নির্দেশ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন: জালে নয়, আইনি জটে আটকে বাংলাদেশের ইলিশ, হতাশ বঙ্গবাসী
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জন নিরাপত্তা ও পশু অধিকারের মধ্যে একটা সমতা বজায় রেখেই চলতে হবে। সঞ্জীব খান্না এবং জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে এই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেড় কোটি মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছিলেন। শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ।
২০২২ সালে প্রথম সাত মাসের হিসেব বলছে দেশজুড়ে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন।
Leave a Reply