বিশেষ সংবাদদাতাঃ শীতের দেরিতে জাগা সকাল, নরম রোদে ভেজা দুপুর বা পড়ন্ত বিকেল; সবই কেমন যেন বিষাদমাখা। শীতকাল যতই উৎসবের, বেড়ানোর বা পিকনিকের কাল হোক না কেন, এ কাল মন খারাপেরও। অনেকেই শীতকালে এই অবসাদ উপলব্ধি করেন। মন জুড়ে থাকে এক অদ্ভুত উদাসীনতা। হাজার উৎসবের আলোও তাঁদের মনকে স্পর্শ করতে পারে না। বা করলেও তা সাময়িক। মনোবিজ্ঞানে এই শীতকালীন অবসাদ একেবারেই কোনও আউট অব সিলেবাস বস্তু নয়। বরং বেশ কমনই বলা যায়। মনোবিজ্ঞানীদের কাছে এর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যাও রয়েছে। রয়েছে পোশাকি নামও। ইংরেজিতে সেই নাম হল উইন্টার ডিপ্রেশন বা উইন্টার ব্লুজ। আর মনোবিজ্ঞান একে বলে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার।
আরো পড়ুনঃ সুদীপ বিতর্কে তাপসের পাশে সৌগত, আরও প্রকট হচ্ছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব!
শুনতে হয়তো অবাকই লাগবে, কিন্তু আসলে এই মন খারাপ সূর্যালোকের সঙ্গে সম্পর্কিত। যে ঋতুতে সূর্যের আলোর তেজ কম থাকে, সেই ঋতুতে অনেকের মানসিক অবসাদ বেড়ে যায়। শীতকালে ছোট দিন, বড় রাত ও আকাশ মাঝেমধ্যেই মেঘলা থাকার কারণে মন খারাপ আরও বেশি জাঁকিয়ে বসে। আমাদের মস্তিষ্কের জৈব-রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য যখনই ঠিকভাবে রক্ষিত হয় না, তখনই এই সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার হয়। সেইকারণেই শীতকালে এধরনের মানসিক অবসাদ চেপে বসতে পারে। এসময় শরীরেরও নানা অবসাদজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ক্লান্তি, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, বা কম ঘুম ও খিদে পাওয়া ইত্যাদি। যদি মন খারাপ বেশি হয়, সবকিছুতেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। আর যদি মনে করেন নিজেই ঠিক করা সম্ভব, তাহলে মন খুলে কথা বলে, বেড়িয়ে বা যা করতে ভাল লাগে সেভাবেই নিজের মনকে উৎফুল্ল করার চেষ্টা করুন।
Leave a Reply