নিউজ ডেস্ক: একমাসের মধ্যেই কোণঠাসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। কর মকুব করতে গিয়ে খাচ্ছেন হিমশিম। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনায় মেতেছে কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশরাই। সম্প্রতি ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কাসি কোয়ারটেং-র অপসারণের খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ক্ষমতায় আসার ৩৭ দিনের মাথায় অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেংকে বরখাস্ত করেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি পূর্বঘোষিত সংক্ষিপ্ত বাজেটের একাংশ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাস। সুনক অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন কর্পোরেট করের হার ছিল ২৫ শতাংশ। যা পরে কমিয়ে করা হয় ১৯ শতাংশ। এখন আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে পুনরায় কর্পোরেট করের হার ১৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা ভাবছেন ট্রাস।
সম্প্রতি আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে ব্রিটেন। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের বিদেশি অর্থভাণ্ডার তলানিতে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফ-র কাছেও ঋণ চাইতে যেতে পারে ব্রিটিশ সরকার, আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির একাংশের অভিযোগ, কর মুকুব সংক্রান্ত ট্রাসের সিদ্ধান্তের জেরেই দেশে এসেছে এই অর্থনৈতিক সংকট।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, একটি সমীক্ষাতেও ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ট্রাসের অপসারণের পক্ষে। অন্যদিকে, শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির ১০০-রও বেশি ব্রিটিশ সাংসদ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডির কাছে লিজ ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা দিতে পারেন। এরপর যদি, টোরি সদস্যরাও একই সঙ্গে অনাস্থা প্রকাশ করে তবে নিজের গদি হারানো নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই ট্রাস পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ব্রিটিশ সংসদে কানাভুষো শোনা যাচ্ছে পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি সুনক।
আরও পড়ুন: জীবনের আর কদিন! পরমাণু আক্রমণের আশঙ্কা ভুলতে সম্ভোগে মাততে চলেছেন ইউক্রেনবাসী
তবে, প্রধানমন্ত্রী যেই হন না কেন, তাঁর সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রিটেনের অর্থনীতি সামলানো। করোনায় ব্রিটেনের অর্থনীতিতে যেভাবে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা যথেষ্ট কঠিন। নির্বাচনী প্রচারে লিজ ট্রাসের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর থেকে করের বোঝা কমানো। যা ট্রাস করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম বাজেট পেশ করতেই দেখা গিয়েছে, করের বোঝা কমা তো দূর, বরং তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a Reply