নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার টাটা বিতর্ক উস্কে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, টাটাকে আমি তাড়াইনি। তাড়িয়েছে সিপিএম। জোর করে যাদের জমি নেওয়া হয়েছিল তাঁদের জমি ফেরৎ দিয়েছি। বুধবার শিলিগুড়িতে দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এরপরেই কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি একসঙ্গে আক্রমণ করেন।
বাংলাকে টাটা, টাটার
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “টাটাদের বাংলা থেকে যিনি তাড়িয়েছিলেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে টাটা বাই বাই করে টাটা চলে গিয়েছিল সানন্দে। বাংলার মানুষকে বলে গিয়েছিল, তোমরা আনন্দে থাকো। দিদি সেখানে গিয়ে ১ হাজার কোটি খরচ করে গাঁথনি তুলে ফেলেছিলেন।”
দীপাবলির আগে বড় মিথ্যে কথা
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, কালীপুজো, দীপাবলির আগে বড় মিথ্যে কথা। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে কৃষি চাই, শিল্প চাই বলে যে টাটাকে বাই বাই বলে দেন। টাটাকে বাংলা থেকে তাড়াতে এতদিন অনশন করলেন। কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার কথা বললেন। ফসলে লাভ দেবেন বললেন। কৃষকরা আজও সেই জমি থেকে লাভ পাননি। আজ উনি ফিরে তাকান না। কৃষক পরিবারগুলির ছেলেমেয়েদের চাকরি হওয়ার কথা ছিল। আজও সার্টিফিকেট রয়েছে। আর এখন মিথ্যা বলছেন উনি টাটাকে তাড়াননি! সিপিএম, তৃণমূল নিজেরা ষড়যন্ত্র করে, এক গোয়ালে থেকে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”
মিথ্যায় ডিলিট
মমতাকে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মিথ্যায় একেবারে ডিলিট করেছেন, ঘটনাক্রমে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উনি যেটা বলেননি এখনও, তা হল, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে তাড়ানোর জন্য ধর্নায় বসেছিলেন বুদ্ধবাবু। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেন, যাতে কোনও ভাবেই সিঙ্গুরে কারখানা গড়তে না পারে টাটা।”
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে কেরিম খানকে তলব, নোটিস তিনটি ব্যাঙ্ককে
তিনি আরও বলেন, শুধু টাটা ভুল করে বলে ফেলেছিল, ‘কপালে বন্দুক ঠেকালে কী করব!’ সেটা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কেই বলেছিল, তা বোধহয় মনে নেই ওঁর। এত প্রখর স্মৃতিশক্তি, তাও মনে নেই। এত মিথ্যা কথা বলা কারও পক্ষে সমীচীন নয়, একজন মহিলার পক্ষে তো নয়ই, যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার সর্বনাশ করেছেন উনি। বাংলার যুব সমাজের ভবিষ্যৎ ছিল টাটার ওই কারখানা।”